ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। তিনি যেখানেই পারফর্ম করেন, সেখানে সৃষ্টি হয় জনস্রোতের। তার খ্যাতির ধারের কাছেও পৌঁছায়নি এখনকার সময়ের অনেক শিল্পী। মাত্র ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে পেয়েছেন একটা সুবিশাল ফ্যানবেজ।

কিন্তু এসবের সবকিছুকে এক পাশে রাখেন অরিজিৎ। অপর পাশে রাখেন তার ব্যক্তিজীবন, এক অভাবনীয় সাদামাটা ব্যক্তিত্ব। এখনও চটি পায়ে, স্কুটি চালিয়ে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করতে বেরিয়ে পড়েন অরিজিৎ। গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেলে খান বাঙালি খাবার; নিজের মধ্যে ধরে রাখার চেষ্টা করেন সেই বাঙালিয়ানা।

অরিজিৎ হয়ত নিজের জীবন স্বাভাবিকদের মত রাখতে চান বলেই এত ছিমছাম চালচলন তার। সম্প্রতি একটি রেস্তোরাঁয় হন হন করে ঢুকে পড়েন অরিজিৎ। সেখানে গিয়ে রাতের খাবার খান তিনি। সেখানে তার খাবারের তালিকায় ছিল ভাত, ডাল, আলু ভাজা ও দেশি মুরগির ঝোল।

এদিন খাবার খেয়েই শিলিগুড়ির দিকে নাকি রওনা হন বলে জানা যায়। অরিজিতের রেস্তোরাঁ ঢোকার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয় সিসি ক্যামেরায়। তারই ঝলক উঠে আসে সামাজিক মাধ্যমে।

যদিও কী কারণে অরিজিৎ এসেছিলেন সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে রেস্তোরাঁর মালিক জানান, গতকাল রাতে দু-তিনটি গাড়ি তার রেস্তোরাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে দু-তিনজন দুপুরে খাবারও সেখানেই খেয়েছিলেন। 

তারা বলেছিলেন, রাতে তাঁরা আবার আসতে পারেন। এরপর রাতে তারা আবার এসে খাবারের অর্ডার দেন। সেইসময় হঠাৎই গাড়ি থেকে নেমে আসেন অরিজিৎ সিং। আর তখনই তিনি বুঝতে পারেন, ওই গাড়িতে আসলে জনপ্রিয় গায়কও ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে উঠে আসা ছবিতে অরজিৎকে একটা ছিমছাম অরেঞ্জ টি-শার্ট ও খাঁকি রঙের প্যান্টে দেখা যায়।

অরিজিৎকে সামনে পেয়ে খুশি ছিলেন ওই রেস্তোরাঁ মালিক। তিনি বলেন, 'এত বড় শিল্পীকে সামনে থেকে দেখতে পাব জীবনেও ভাবিনি। শুনেছি হাসিমারার কাছাকাছি কোনও জায়গায় তিনি এসেছিলেন। খাবার খেয়ে শিলিগুড়ির দিকে চলে যান তিনি ও তার দলের সদস্যরা।'

তবে অরিজিৎ ঠিক কী কারণে ওই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন তা স্পষ্ট নয়। তিনি কোনও গানের অনুষ্ঠানের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন কিনা তাও স্পষ্ট নয়।

ডিএ