‘রিফিউজি’ ছবির হাত ধরে বি-টাউনে পা রেখেছিলেন দুই স্টারকিড অভিষেক বচ্চন এবং কারিনা কাপুর। জে পি দত্ত পরিচালিত এই ছবি দারুণ সাফল্য পেয়েছিল। সাফল্য সত্ত্বেও ছবি তৈরি করতে গিয়ে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। কারণ অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করতে রীতিমতো দ্বিধাবোধ করতেন করিনা। আসলে অমিতাভ-পুত্রকে দাদার চোখে দেখতেন তিনি।

সিমি গরেওয়ালের শো-এ উপস্থিত হয়ে কারিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন অভিষেক বচ্চন। তিনি বলেছিলেন যে, ‘ওই দৃশ্যে আমাকে রীতিমতো ছাড়খাড় করে দেওয়ার জন্য আমি তোমায় কোনও দিন ক্ষমা করতে পারব না। আমার মনে আছে যে, তুমি এসে প্রথম যে কথাটা বলেছিলে, সেটা হল - এবি এটা আমাদের একসঙ্গে প্রেমের প্রথম দৃশ্য। আর আমি কীভাবে তোমার প্রেমে পড়তে পারি? তুমি তা আমার দাদার মতো।’

আসলেই তাদের সম্পর্কের সমীকরণটা ছিল অনেকটা বোন আর দাদার মতো। কারণ কারিনার দিদি তথা অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের সঙ্গে সেই সময় অভিষেকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সেই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। ফলে আলাদা হয়ে যায় কারিশমা এবং অভিষেকের পথ।

সেই সময় কারিনা রাজীব মসন্দকে বলেছিলেন যে, ‘আমি সব সময় এটা বজায় রেখে চলেছি যে, অভিষেকই হল প্রথম অভিনেতা, যার সঙ্গে আমি আমার প্রথম শট দিয়েছি। এর ফলে আমার মনে তার একটা বিশেষ জায়গা রয়েছে। যেটা অন্য কোনও অভিনেতা কিংবা অন্য কেউ নিতে পারবেন না। আমি যখন ওর দিকে তাকাই, তখন আমি ওকে গর্ব আর আনন্দের সঙ্গেই দেখি। কিন্তু সব কিছু যেন তিক্ত হয়ে গেল। এটাই খারাপ লাগে।’

এ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘ও যদি আমার সঙ্গে ছবি করতে না চায়, কিংবা উল্টোটাও হতে পারে। কারণ আমি বুঝি যে, আমাদের দু’জনের কমফোর্ট লেভেলই আর আগের মতো নেই। আমার মনে হয়, মানুষের এটা শ্রদ্ধা করা উচিত।’

প্রসঙ্গত বচ্চন পরিারের বধূ হওয়ার সুযোগ পাননি কারিশমা কাপুর। ২০০৩ সালে সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। যদিও খুবই খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়েই ২০১৪ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাদের। 

কারিশমা এবং সঞ্জয়ের দুই সন্তান সামায়রা এবং কিয়ান কাপুর। এদিকে ২০০৭ সালে ঐশরিয়া রাইয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন অভিষেক। তাঁদের জীবনে এসেছে এক কন্যাসন্তান আরাধ্যা বচ্চন।

এমআইকে/