ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণ ঘটেছে। তিনি ছিলেন একজন সংস্কতিমনস্ক রাজনীতিক ব্যক্তি। তাই তো রং-দল নির্বিশেষে রাজনৈতিক মহলের মতই শোকেবিহ্বল ওপার বাংলার তারকারা। লাল সালামে কমরেডকে বিদায় জানাচ্ছেন তারা।

ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে পাওয়া খবর, পশ্চিমবঙ্গের তারকাদের একাংশকে বুদ্ধদেবের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র কাঁদছেন।

পরিচালক-অভিনেতা কমলেশ্বর মুখার্জিও মেনে নিতে পারছেন না। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও হতবাক।

গানের ছন্দ ধরে বুদ্ধদেবের উদ্দেশ্যে শ্রীলেখার মন্তব্য, ‘ও আলোর পথযাত্রী এ যে রাত্রি, এখানে থেমো না। আপনি চলে গিয়ে বেঁচে গিয়েছেন।’

শ্রীলেখার কথায়, ‘বাংলার মানুষ বুদ্ধবাবুর সঙ্গে যেটা করেছে, সেটা ক্ষমার অযোগ্য। কারও কাছে মাথা নোয়ালেন না। কোনও আপস করলেন না। ওই দুঃখ, এই কষ্ট ভিতরে রেখে মাথা উঁচু করে চলে গেলেন। যেরকমভাবে একজন কমিউনিস্ট নেতার যাওয়ার কথা, সেভাবেই গেলেন। কোনও ঢাকঢোল না বাজিয়ে! এবং আমি বলব, বেঁচে গেলেন। আমার মনে হয়, বুদ্ধবাবুর যোগ্য আমরা নই।’

টালিউড নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বুদ্ধদেবের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা, একজন স্তম্ভ চলে গেল। অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। একদিন হাসপাতালে দেখতেও গিয়েছিলাম। আজ খুবই মনে পড়ছে ওই দিনটা যেদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এসেছিলেন আমার বিয়েতে এবং আমাকে আশীর্বাদ করে গিয়েছিলেন।’

পরিচালক-অভিনেতা কমলেশ্বর মুখার্জী, যিনি বরাবর বামপন্থায় বিশ্বাস করেন, সিনেমার কাজের বাইরে দুস্থ মানুষদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসাও করেছেন, তিনি বললেন, ‘আজ বাংলায় যদি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাত ধরে শিল্পায়ন শুরু হত, তাহলে আপামর বাংলার মানুষ একটা অন্য ধরনের পশ্চিমবঙ্গ দেখতে পেত।’

ডিএ