বর্তমানে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাদের লুক ও চরিত্র নিয়ে যে এক্সপেরিমেন্ট শুরু করেছেন। নানা লুকে, নানা চরিত্রে অভিনয় করে তারা যেমন দর্শকদেরও মন জয় করেছেন, তেমনই নজর কেড়েছেন সমালোচকদের। আর এই তালিকায় রয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়।

‘আবার প্রলয়’-তে ‘মোহিনী মা’ রূপে নজর কেড়েছিলেন নায়িকা, এবার তিনি ‘বহুরূপী’-তেও ফিরছেন একেবারে নতুন লুকে, ‘ঝিমলি’-এর চরিত্রে। সোমবার ‘বহুরূপী’-এর পোস্টার লঞ্চের অনুষ্ঠানে ‘ঝিমলি’ হয়ে ওঠার বিষয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে নিজের অভিজ্ঞনা জানিয়েছেন।

খোঁপায় পলাশ, কপালে চন্দন, নাকে নোলক, একেবারে ভিন্ন রূপে ধরা দিয়েছেন তিনি। তার এই রূপ ফুটিয়ে তোলার জন্য সারা শরীরে মেকআপ করতে হত বলে জানান এ অভিনেত্রী। এর জন্য নাকি সময় লাগত প্রায় দেড় থেকে দু’ঘণ্টা। 

তথাকথিত ডিগ্ল্যাম লুক ছাড়াও ছবির প্রথম লুকে নায়িকার একটি গ্ল্যামারেস ছবিও দেখা গেছে। তা নিয়ে অভিনেত্রী একটু রহস্য করেই বলেন, ‘এই পোস্টারে আমাকে দু’টো লুক দেখা গেছে ঠিকই। কিন্তু আমি বহুরূপী কিনা তার উত্তর ছবিতে পাওয়া যাবে। তবে গ্ল্যামারস লুকে তো আমাকে সব সময়ই দেখা যায়, তাই আর একটা যে লুক সেটা আমার বেশি মনের কাছের, ওভাবে নিজেকে দেখে আমি সত্যি খুব খুশি।’

তবে শুধু মেকআপ নয় কথা বলার ধরনও এই চরিত্রের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সে কথাও নায়িকা জানান। তিনি বলেন, ‘এই চরিত্রের কথা বলার ধরনটাও অনেকটা আলাদা, সেটার জন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। ভাষায় অনেক ছোট ছোট পরিবর্তন করতে হয়েছে। সব 'শ'-কে 'স'-এর মতো করে উচ্চারণ করা। র, ড়, ঢ়- এগুলো ভুল উচ্চারণ করা। 

এ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আসলে আমাকে জোর করে ভুল উচ্চারণে কথা বলতে হয়েছে। ডাবিংয়ের সময় একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল, আমি ইচ্ছে করে ভুল উচ্চারণ করেছিলাম। তারপর আবার দু'দিন পর আমাকে ফোন করে বলা হয়েছিল যে ঠিক ভাবে উচ্চারণ করে বলতে হবে, কিন্তু আমি এদিকে 'শ'-এর ভুল উচ্চারণ করতে করতে ঠিকটা আর বলতেই পারছিলাম না। আসলে এটা ভাবে আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। আমি তো ভয়ে ভয়ে থাকতাম যে সবার সামনে না আবার ভুল উচ্চারণে কথা বলে ফেলি।’

এমআইকে/