জলের গানের দলনেতা ও ব্যান্ডের ভোকাল রাহুল আনন্দ। তার গানের সঙ্গে শোনা যেত অসাধারণ কিছু বাদ্যের সুর। অনেকেরই হয়ত অজানা, তার গানের নেপথ্যে বাদ্যের যে সুরগুলো শোনা যেত, সেসব বাদ্য পরম মমতায়, নিজ হাতে বানিয়েছিলেন তিনি। রাহুলের নিজের বাসাও যেন একটি বাদ্যযন্ত্রের যাদুঘর। সেখানে রয়েছে রাহুলের হাতে বানানো অন্তত শতাধিক বাদযন্ত্র।

রাহুলের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে তার অনুরাগীদের আগ্রহ ছিল আকাশছোঁয়া। তাদের অনেকেই হয়ত ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন একটিবারের মত রাহুলের বাদ্যযন্ত্রগুলো দেখে আসার। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোও গেছেন তার বাড়িতে! কিন্তু সে স্বপ্ন হয়ত আর কখনই পুরণ হবে না রাহুলের অনুরাগীদের; কারণ, একদল দুর্বৃত্তের হামলায় নিমিষেই শেষ হয়ে যায় রাহুলের দীর্ঘদিনের পরিশ্রম।

গত সোমবার শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর উত্তাল হয়ে ওঠে সারাদেশ। এর মধ্যে একদল অতি উৎসাহী জনতা শুরু করে ভাঙচুর-তাণ্ডবের মত কাজ। এতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এক হামলার শিকার হন শিল্পী আনন্দ রাহুল।

বিভিন্ন গণমাধ্যম সুত্রে পাওয়া খবর, রাহুলের বাড়িতে থাকা সহস্রাধিক যন্ত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগও করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান জলের গানের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম।

তার কথায়, ‘রাহুল নিজ হাতে যেসব বাদ্যযন্ত্রগুলো বছরের পর বছর ধরে তৈরি করেছিলেন, এগুলোর সবই ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের আগে রাহুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বেড়িয়ে যেতে বলে।

রাহুলের পারিবারিক সূত্র থেকে পাওয়া খবর, রাহুলরা শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তবে বাদ্যযন্ত্রগুলো ভেঙে ফেলায় একেবারে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন রাহুল।

এ ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষকে নিন্দা প্রকাশ করতে দেখা যায়।

ডিএ