কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে দেশের নাজেহাল পরিস্থিতিতে সাধারণদের মত খারাপ সময় পার করছে দেশের শোবিজ অঙ্গন। কিন্তু কিছু তারকারা আছেন, যারা শুরু থেকেই এই বিপর্যয় নিয়ে সরব ছিলেন। তাদের একজন অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। দেশে চলমান এই পরিস্থিতিতে একরকম অস্বাভাবিক জীবন পার করছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে তার প্রোফাইল ঘাঁটলেই বুঝতে বাকি থাকবে না যে এই মুহূর্তে এক খারাপ সময়ের মধ্যে কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী।

তার ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যায়, মূল ছবির বদলে রক্তবর্ণের লাল পর্দা! কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতায় নিহত ও গণগ্রেপ্তার-হয়রানির ঘটনায় যেন খুব বেশি মর্মাহত তিনি। বিভিন্ন বিদ্রোহী পোস্টের ক্যাপশনের কথাগুলোতে একেকটি প্রতিবাদের সুর।

এই মুহূর্তে কলকাতার সৃজিতের ঘর ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় বাবার বাড়িতে সময় কাটাচ্ছেন মিথিলা। এর আগে অভিনেত্রী তার বিষাদে ভরা মনে কিছুটা শক্তি সঞ্চার করতে মেয়ে আয়রার সঙ্গে কবিতা পাঠ করতে বসেছিলেন। তা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারও করেছিলেন তিনি। এরই মধ্যে চলমান ইস্যুর সঙ্গে সামঞ্জস্য বেশ চমক দেখালেন মিথিলা কন্যা আয়রা। তা দেখে মা মিথিলা বলেই উঠলেন, ছোটরাও এখন বড় হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে নিজের মেয়ের আঁকা কিছু ছবি পোস্ট করেন মিথিলা। ছবিতে দেখা যায়, লাল রক্ত মাখা শরীরে একটি বেডিতে পড়ে আছে কিছু নিথর শরীর। পাশে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে আরও কিছু মানুষ। তার একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা 'উই ওয়ান্ট ফ্রিডম'। আরেকটি প্ল্যাকার্ডে লেখা, 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। ওপরের প্রচ্ছদে লেখা, 'মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি'।

মিথিলার মেয়ের আঁকা ছবিটি দেখে বুঝতে বাকি নেই যে দেশে চলমান কোটা আন্দোলন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুলিকাণ্ডের চিত্র এগুলো। তাতে ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে ক্যাপশনে মিথিলা উল্লেখ করে দেন, ‘আমার মেয়ের আঁকা ছবি। ছোটরাও বড় হয়ে গেলো। এবার বড়দের একটু সুমতি হোক।’

ছবিগুলো দেখে মিথিলার অনুরাগীরা বেশ চমকে যান। কেউ তো লিখেছেন, ‘ওরা আমাদের চেয়ে সাহসী।’ কারও মন্তব্য, ‘ভীষণ সুন্দর এবং বুদ্ধিদীপ্ত।’

এদিকে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতায় নিহত ও গণগ্রেপ্তার-হয়রানির ঘটনায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ জানিয়েছে শিল্পী সমাজ। একই সংহতি জানিয়ে এদিন সকালে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন মিথিলা। সেখানে সকলের সঙ্গে আন্দোলন ঘিরে হত্যার হিসাব ও বিচার করাসহ নির্বিচারে গুলি ও সহিংসতা বন্ধের দাবি জানান।

ডিএ