বলিউডের পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভানসালীর সঙ্গে ব্যাক-ক্যামেরায় কাজ করতেন অভিনেত্রী সোনম কাপুর। সে সময় কাজের অভিজ্ঞতা একেবারেই ছিল না অভিনেত্রীর। তাইতো শুরুতে সোনমকে একটা কাজের সুযোগ করে দিয়েছিল ভানসালী। অভিনেত্রীর বাবা অভিনেতা অনিল কাপুরও চাইতেন এমনটা।

কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও, শুরুতে খুবই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন তারকা কন্যা সোনম কাপুর। ক্যারিয়ারের একেবারেই শুরুলগ্নে তার আয় একরকম পকেট খরচা হিসেবেই ছিল। সোনমের ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে, বাড়ি ফেরার সময় ভ্যানিটি ব্যাগে পয়সা নেই, তাই অন্যের গাড়িতে নাকি লিফটও নিতে হয়েছে!

এদিকে সোনম কাজ শিখতেন ভানসালীর অধীনে। তাই তো খুশি হয়ে উঠতি নায়িকাকে টিপসও দিতে ভুলতেন না সঞ্জয় লীলা। তাই তো কোনো এক সময় অনিল কাপুরের মত একজন তারকার কন্যার হাতে সাড়ে তিন হাজার টাকা গুঁজে দিয়েছিলেন ভানসালী। যেটি  ছিল সোনমের প্রথম রোজগার।

বলিউড অঙ্গন থেকে ইতিহাস টেনে সম্প্রতি এমনটিই খবরে এসেছে ভারতীয় গণমাধ্যমে। শোনা গেছে, সোনমের হাতে নাকি তখন একদমই টাকা থাকত না। বাড়ি থেকে কোনো হাত খরচা পেতেন না তিনি। বাবা-মায়ের বিলাসবহুল গাড়িও পেতেন না যাতায়াতের জন্য। বাড়ি ফেরার সময় লিফ্ট চাইতেন অন্যদের কাছে। বলা যায়, ওরকম টুকিটাকি হাত খরচার ওপরেই নিজের শিক্ষানবীস সময়টি পার করেছেন সোনম কাপুর।

পরবর্তীতে ‘সাওয়ারিয়া’ ছবিতে নায়িকার চরিত্রে সোনমকে অভিনয় করিয়েছিলেন ভানসালী। সেটিই ছিল সোনমের অভিষেক। তখন বিপরীতে ছিলেন অভিনেতা রণবীর কাপুর; সেটি রণবীরেরও প্রথম ছবি। ভানসালী বলেছিলেন, ‘সোনমের মুখে কোনও খুঁত নেই। প্রত্যেক দিক থেকেই ওর এক্সপ্রেশন পারফেক্ট!’

ডিএ