যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভার্জিনিয়ার দার আল নুর ইসলামিক কমিউনিটি মসজিদে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় তার জানাজা হয়।

যেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল বলে জানিয়েছেন শিল্পীর ছেলে আযরাফ রাকিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাবার প্রথম জানাজা হয়েছে ভার্জিনিয়ার দার আল নুর মসজিদে। প্রায় দুই হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল।’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জানাজার পর সেখান থেকে শিল্পীর মরদেহ দেশে আনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পরিবার। বনানীতে দ্বিতীয় জানাজার পর শিল্পীকে দাফন করা হবে তার বাবার কবরে। 

একটি কনসার্টে অংশ নিতে চলতি মাসের ৯ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান শাফিন আহমেদ। ২০ জুলাই ছিলো সেই কনসার্ট, কিন্তু তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এই শিল্পী। ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বহু কালজয়ী গানের এই শিল্পী।

বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনের দুই মহারথী সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং সুরকার কমল দাশগুপ্তের ছেলে শাফিন নিজে ছিলেন বেইজ গিটারিস্ট, সুরকার এবং গায়ক। ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম। বড় ভাই হামিন আহমেদসহ ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে পশ্চিমের সংগীতের সঙ্গে সখ্য হয় শাফিনের। শুরু হয় তার ব্যান্ড সংগীতের যাত্রা।

ফরিদ রশিদের হাত ধরে ১৯৭৯ সালে তারা গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল ‘মাইলস’। প্রথম কয়েক বছর তারা বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে ইংরেজি গান গাইতেন। এরমধ্যেই প্রকাশিত হয় দু’টি ইংরেজি গানের অ্যালবাম ‘মাইলস’ ও ‘এ স্টেপ ফারদার’। পরে মাইলসের বাংলা গানের প্রথম অ্যালবাম ‘প্রতিশ্রুতি’ বের হয় ১৯৯১ সালে।

মাইলসের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘প্রথম প্রেমের মতো’, ‘গুঞ্জন শুনি’, ‘সে কোন দরদিয়া’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘কি যাদু’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘হৃদয়হীনা’, ‘স্বপ্নভঙ্গ’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘পিয়াসী মন’, ‘বলব না তোমাকে’, ‘জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন’ ও ‘প্রিয়তমা মেঘ’।

এনএইচ