বাংলার জীবনমূখী শিল্পী হিসেবে খ্যাত নচিকেতা চক্রবর্তী। তার সুরে উঠে এসেছে ফুটপাতের গল্প, সাধারণ মধ্যবিত্তের মানসিকতা। তিন দশক ধরে তার দুনিয়াতেই রাজ করে যাচ্ছেন; লেখেন নিজের পথ নিজেই।

ক্যারিয়ারের পুরো সময়ে অজস্র সম্মান ও ভালবাসা পেয়েছেন নচিকেতা। সম্প্রতি ‘মহানায়ক’ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন এই শিল্পী। কিন্তু তাকে ‘মহানায়ক’ সম্মান দেওয়াতে সৃষ্টি হয়েছে কিছু বিতর্ক। তা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মুখ খুলে কড়া জবাব দিলেন নচিকেতা।

‘মহানায়ক সম্মান’ প্রাপ্তি নিয়ে নচিকেতা শুরুতে মহানায়ক উত্তম কুমারের ওপর সম্মান প্রকাশ করেন। নচিকেতার কথায়, ‘উত্তম কুমার বাঙালির কাছে আবেগের। তার নামের পুরস্কার পাওয়া অবশ্যই আমার অন্যতম বড় প্রাপ্তি।’

শুধু গান নয়, বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ও করেছেন নচিকেতা। নিজের চরিত্রেই গানও গেয়েছেন। নচিকেতার অন্য সত্ত্বাগুলোর কারণেই ‘মহানায়ক’ সম্মাননা কী না, সে প্রসঙ্গে নচিকেতা বলেন, ‘মহানায়ক সম্মান কিন্তু শুধু অভিনয়ের পুরস্কার নয়। মহানায়ক মানে অভিনেতার মহানায়ক না। মহানায়কের সম্মানে আমায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে আমার সারা জীবনের কাজের জন্য। এটা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।’

নচিকেতা আরও বলেন, ‘কাউকে যদি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, তাকে কি বিজ্ঞানী হতে হবে? কিছু অশিক্ষিত মানুষ অনেক রকম কথা বলছেন। তাদের বুঝতে হবে, আমি তো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিরই লোক। অন্তত ১২টা ছবিতে মিউজিক করেছি। তাহলে আমি কি সেই পুরস্কারটা পেতে পারি না? ‘মহানায়ক’ পুরস্কার পাওয়ার জন্য আমায় অভিনেতাই হতে হবে এটা কোথায় লেখা আছে? ‘মহানায়ক’-একটা ব্র্যান্ড। নোবেল পুরস্কার তাহলে অভিনেতাকে দেওয়ার কি দরকার, কেবল বিজ্ঞানীদের দিলেই পারত।’

নচিকেতা এও বলেন, ‘অন্য কেউ মহানায়ক সম্মান পেলে এত লেখালেখি হত বলে মনে হয় না। কতগুলো অশিক্ষিত লোক বলাবলি করছে, নচিকেতা মহানায়ক পুরস্কার কেন পেল ও তো অভিনয়ই করে না। আসলে আমার জনপ্রিয়তাটা এখনও ৩১ বছর আগের মতোই রয়েছে। আমায় নিয়ে লিখলে ওদের টিআরপি বাড়ে।’

ডিএ