কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল সারাদেশ। ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে আহত-জখম হয়েছে অনেকে; মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যার ছবি-ভিডিও মুহূর্তের মধ্যেই ঝড় তোলে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এতে নিন্দা জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখে অন্য সবার মতই বিষাদের দাগ লাগে তারকাদের মনেও। তাই তো সহিংসতার পথ পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছেন শিল্পীরা। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার তারা।

ইতোমধ্যে কোটা সংস্কার চেয়ে আন্দোলনরতদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন করেছেন বিভিন্ন চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ ইউটিউবার ইনফ্লুয়েন্সারসহ সংগীত শিল্পীরাও। এবার তাদের মধ্যে মুখ খুললেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান ও অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

এক ফেসবুক পোস্টে শাকিব খান লেখেন, ‘আমার প্রাণের বাংলাদেশ এভাবে রক্তাক্ত হতে পারে না। কারও মা-বাবার বুক এভাবে খালি হতে পারে না। আপনারা যারা অভিভাবক পর্যায়ে আছেন, তাদের কাছে অনুরোধ রইল, এখনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এই সংকটের যৌক্তিক সমাধান বের করুন। সব ধরনের সংঘাতের সমাপ্তি চাই।’

এদিকে সহিংসতার কথা স্মরণ করে কথা বলেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। সমসাময়িক এই উত্তেজনা দেখে তিনি শোকাহত। সাধারণ শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরতে দেখে হয়েছেন হতবাক।

হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কালো প্রতিকী ছবি যোগ করেন। সেখানে চঞ্চল লেখেন, ‘পেশাগত কাজে প্রায় বিশ দিন আমেরিকা থাকার পর গতকাল রাতে ঢাকায় ফিরেছি। সেখানে বসে এই কয়দিন নিউজগুলো দেখে হতবাক হয়েছি… হয়েছি শোকাহত!’

সেই পোস্টে কিছু প্রশ্নও ছোঁড়েন চঞ্চল। লেখেন, ‘সমাধানের অন্য কোন পথ কি খোলা ছিলো না? গুলি কেন করতে হলো? বুকের রক্ত না ঝড়িয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেতো না?’

রাজনীতির নামে রক্তপাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চঞ্চল চৌধুরী আরও লেখেন, ‘যা ঘটে গেলো এটা যেমন মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক এবং সভ্যতা বর্হিভূত! আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ এবং অভিভাবক হিসেবে রাজনীতির এত এত কঠিন কৌশল বুঝিনা! শুধু একটা প্রশ্ন বুঝি, তরুণ তাজা যে প্রাণগুলো অকালে ঝড়ে গেল, তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হলো, তার আর্তনাদ কি কোনো জনমে শেষ হবে? হায়রে দুর্ভাগা দেশ! নোংরা রাজনীতির নামে এই রক্তপাত বন্ধ হোক!‘

বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কথা বলেছেন চিত্রনায়িকা বুবলি, অপু বিশ্বাস, পরীমণি, পূজা চেরি, মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, জিয়াউল হক অপূর্ব, নিলয় আলমগীর, সাবিলা নূর, সাদিয়া আয়মান, সুমন আনোয়ার, আশফাক নিপুণ, ইউটিউবার ও ইনফ্লুয়েন্সার সালমান মুক্তাদির, অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক, ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর আরএসফাহিম চৌধুরী, সংগীতশিল্পী তাসরিফ আহমেদ, ইফতেখার রাফসানসহ অনেকে।

ডিএ