সঙ্গীতশিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলিউডে বিস্তর জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তবে ক্যারিয়ারের শুরুটা মসৃণ ছিল না শিল্পীর। ‘ফিরভি দিল হ্যায় হিন্দুস্থানি’ থেকে ‘ম্যায় হু না’, শাহরুখের একাধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। তবে ‘ইয়েস বস’ সিনেমায় গান গাওয়ার পর বেশ তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার। 

সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে এ সংগীতশিল্পীকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো ক্যারিয়ারে কখনও অপমানিত হতে হয়েছে? এর জবাবে গায়ক বলেন, ‘বারবার অপমানিত হয়েছি। সঙ্গীত পরিচালকরা যেই শাহরুখের সিনেমা পেয়ে যেতেন, তিনি আমার যত কাছেরই হোন না কেন মনে হতো যেন তার একটাই লক্ষ্য যে অভিজিৎকে দিয়ে গান গাওয়াবো না।’

একই সঙ্গে তিনি ‘ইয়েস বস্’ পরবর্তী সময়ের একটি ঘটনা জানান। অভিজিতের মতে, সে সময় ‘বর্ডার’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘পরদেশ’- এর মতো ছবি বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হয়েছে। কিন্তু ‘ইয়েস বস্’ জনপ্রিয় গানের নিরিখে অন্যান্য ছবির থেকে এগিয়ে ছিল। সে জন্য তাকে নাকি বহু অপমান সহ্য করতে হয়। অভিজিতের কথায়, ‘তারপর অনেক সঙ্গীত পরিচালক সরাসরি আমাকে বলেছিলেন যে, তারা আমাকে দিয়ে গান গাওয়াতে চান না। শাহরুখ জানেন যে সেই সময় এ ঘটনায় কারণে দুঃখ পেয়েছিলাম।’

শাহরুখের সঙ্গে অভিজিতের মতানৈক্য আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় ‘ম্যায় হুঁ না’। এই ছবিতে টাইটেল সং গেয়েছিলেন অভিজিৎ কিন্তু গায়ক হিসেবে তাকে যোগ্য সম্মান না দেওয়ার অভিযোগে সেই সময় শাহরুখের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এ গায়ক। পরবর্তীতে দু’জনের সম্পর্কের সমীকরণের নষ্ট হওয়া প্রসঙ্গে একাধিক বার মুখ খুলেছেন অভিজিৎ। 

প্রসঙ্গত, আজিজ মির্জা পরিচালিত ‘ইয়েস বস’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৭ সালে। সুরকার জুটি যতীন-ললিতের সুরে ছবিতে চারটি গান গেয়েছেন অভিজিৎ। এর মধ্যে ‘ম্যায় কোই অ্যায়সা গীত গাউ’ গানটির জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এক সময়ে অভিজিতের গান চার্টবাস্টারে রাজত্ব করত। আজও সেই গানের কদর রয়েছে। তবে অতীতের এক ঝামেলার জন্য শাহরুখের সঙ্গে গায়কের সম্পর্ক বিশেষ ভালো নয়।

অভিজিৎ একজন বাঙালি গায়ক। তিনি মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য প্লেব্যাক করেন। তবে তার হিন্দি এবং বাংলা গানের বেশ কিছু ব্যক্তিগত অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ১০০০ এর বেশি চলচ্চিত্রে প্রায় ৬০৩৪ টির মতো গান গেয়েছেন।

এমআইকে/