অনন্ত-রাধিকার বিয়ের আগে গণবিয়ে দেবেন মুকেশ-নীতা
আগামী ১২ জুলাই বিয়ে করবেন আর ১৩ জুলাই শুভ আশীর্বাদ, শেষদিন তথা ১৪ জুলাই থাকবে মঙ্গল উৎসব, যা আদতে ওয়েডিং রিসেপশন। তিনদিন ব্যাপী চলবে বিয়ের পর্ব।
তার আগে অনন্ত ও রাধিকার প্রাক-বিবাহ উদযাপনের অংশ হিসাবে সমাজের দরিদ্র শ্রেণির যুবক-যুবতীর গণবিবাহের আয়োজন করেছেন নীতা ও মুকেশ আম্বানি। ২ জুলাই বিকেল সারে ৪টা থেকে এ বিবাহ আসর বসবে পালগড়ের স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি বেনারসে গিয়েছিলেন নীতা আম্বানি। বেনারসী শাড়ি কেনা থেকে শুরু করে জনপ্রিয় দোকানে বসে চাট খেতেও দেখা গেছে তাকে। অনন্ত ও রাধিকার বিয়ের প্রথম নিমন্ত্রণ-পত্রটি মহাদেবকে উৎসর্গ করেছেন মুকেশ-পত্নী নীতা। সে কারণেই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে যান তিনি। তারপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র অতিথিদের পাঠানোর পালা।
সাধারণত বিয়ের প্রথম আমন্ত্রণ পত্র ঈশ্বরের কাছেই নিবেদন করে আম্বানি পরিবার৷ ছোট ছেলের বিয়ের কার্ড নিবেদন করা হয় কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের বাবা ভোলানাথকে। ১০ বছর পর নীতা গেলেন সেই শহরে৷ বরাণসী শহরের উন্নতি দেখে তিনি আপ্লুত বলে জানান নীতা আম্বানি৷ শহরের পরিচ্ছন্নতা, নোমো ঘাট, সৌর শক্তির ব্যবস্থা, কাশী বিশ্বনাথ প্রাঙ্গণ, সব দেখে খুশি নীতা৷
ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের আমন্ত্রণের বক্স। বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা ও বলিউডের তারকার কাছেও পৌঁছে গিয়েছে আমন্ত্রণ। লাল রঙের বাক্স মধ্যে রয়েছে রুপোর একটি ছোট্ট মন্দির। তার চারদিকে রয়েছে চারটি সোনালী মূর্তি। বাক্সটি খুললেই বাজছে একটি মনোমুগ্ধকর মিউজিক। সেই মন্দিরের চারদিকে রয়েছে গণেশ, রাধা কৃষ্ণ, দুর্গা ও লক্ষ্মীর মূর্তি।
শুধুমাত্র মন্দিরই নয়, ওই বাক্সের মধ্যে অতিথিদের জন্য রয়েছে আরও অনেক উপহার। বাক্স রয়েছে একটি সাদা কাপড়ের উপর ফ্লোরাল ডিজাইন। সেখানে লেখা 'AR', আমন্ত্রণের বাক্সে রয়েছে একটি বেগুনী রঙের শাল এবং মিষ্টি। হিন্দু রীতি মেনেই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন অনন্ত ও রাধিকা।
এসকেডি