সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের শৈশবের একটি ছবি প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। অভিনেত্রী যখন স্কুলে পড়েন সে সময়কালীন বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একটি দলীয় ছবি। 

বহু বছর আগের ছবিটি প্রকাশ করে অভিনেত্রী দেখতে চেয়েছেন, তাকে কেউ চিনতে পারছেন কি না ছবির মধ্যে থেকে। 

রোববার (২৩ জুন) বিকেলে ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করে মিম লিখেছেন, ‘কেউ কি আমাকে এখানে খুঁজে পাচ্ছেন?’ এরপর অভিনেত্রী যোগ করেন-  আমার স্কুলজীবনের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের  ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ ইভেন্টের ছবি!

তবে ছবিতে মিমকে খুঁজে বের করা যেন একটু দুষ্করই ছিল তার ভক্তদের জন্য। কারণ মিম বাদেও ছবিতে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিল। যারা সকলেই মিমের সহপাঠী কিংবা বন্ধু। তাদের মধ্যেই নিজেকে খুঁজে বের করার কাজটা ভক্তদের করতে দিয়েছেন অভিনেত্রী। 

মিমের সেই ছবিতে অসংখ্য মন্তব্য জমা পড়েছে। ভক্তরাও অনুমান করে বিভিন্ন উত্তর দিচ্ছেন। কেউ বলছেন, স্কুলের ইউনিফর্ম পরা মেয়েটা মিম। আবার কারো মন্তব্য, ‘জোকার’-এর মুখোশ পরে থাকা মানুষটাই তাদের বর্তমান প্রিয় অভিনেত্রী। 

মিম, ভক্তদের এই মন্তব্যগুলো বেশ উপভোগ করছেন। কারো কারো অনুমান, উত্তর ভুল সেটাও কমেন্টে জানিয়েছেন। তবে অনেকেই বুঝতে পেরেছেন, ছবিতে সবার পেছনে দাঁড়ানো জোকারের মুখোশে ঢাকা অন্যদের চেয়ে খানিক লম্বা মেয়েটি মিমি। 

মিমের পোস্ট করা ছবিটি দেখে তার স্কুল সহপাঠিদের অনেকে মন্তব্য করেছেন! হাজারা হোসেন সুমাইয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘সেই দিনটির কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে। ওই সাজে তোমাকে দারুণ লেগেছিলো।’

সুমাইয়ার এমন মন্তব্যে তার কাছে অনেকেই কৌতূহল নিয়ে জানতে চান, ‘ছবিতে মিম কোথায়, সবার পেছনে, জোকার?’ উত্তরে সুমাইয়া লিখেছেন, হ্যাঁ। সেদিন তাকে যা লেগেছে, একদম রিয়েল জোকার মনে হয়েছে। ড্রেসটা খুব সুন্দর ছিলো।’

মিমের সঙ্গে এই স্কুলে পড়েছেন দাবি করে সাদিয়া আফরোজ মৌরি নামের একজন লিখেছেন, ‘আমিও নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলাম। বহুবার আমি তোমাকে দেখেছি। এমনকি পরীক্ষা কেন্দ্রে আমরা একসাথে একই বেঞ্চে বসেছি। আমরা সবাই তোমাকে নিয়ে গর্বিত।’

যদিও এখনও পর্যন্ত মিম নিশ্চিত করেননি, ছবিতে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েদের মধ্যে কোন মেয়েটাই তিনি।

এনএইচ