তারকাদের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট কিংবা ডিপফেক ছবি-ভিডিও তৈরি নতুন কিছু নয়। বলিউড-টালিউডে এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে। তেমনই ঘটনা ঘটল অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গে।

ভুয়া অ্যাকাউন্টের খপ্পরে পড়েছিলেন জাহ্নবী, তাও আবার এক্স প্রোফাইলে। তবে শুধুই ভুয়া প্রোফাইল নয়। শ্রীদেবীকন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তার এক্স প্রোফাইল থেকে নাকি অশ্লীল কনটেন্ট পোস্ট করা হচ্ছে নিয়মিত।

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়ে চড়ে বসলেন জাহ্নবী। অভিনেত্রীর সেক্রেটারির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুরো বিষয়টাই ভুয়া। জাহ্নবী শুধুই ইনস্টাগ্রামে রয়েছেন। তার নামে যে কয়টি এক্স প্রোফাইল, তার সবকটিই ভুয়া! অভিনেত্রীর সহকারী জানিয়েছেন, ডিজিটাল যুগে কারও নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেলা খুবই সহজ। টুইটারে জাহ্নবী কাপুরের কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। এই অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা সমস্ত তথ্য এড়িয়ে চলুন।

প্রসঙ্গত, জাহ্নবীর বয়স তখন মাত্র বারো কি তেরো বছর! প্রাপ্তবয়স্কদের সাইটে তার ছবি ফাঁস হওয়ার জেরে স্কুলেও হেনস্তার মুখে পড়তে হয় তাকে! সেই পরিস্থিতি অভিনেত্রীর কাছে বিভীষিকার থেকে কোনো অংশে কম ছিল না। এত বছর বাদে সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন জাহ্নবী কাপুর।

অভিনেত্রী বলেন, তারকাসন্তান হওয়ায় শৈশব থেকেই লাইমলাইটে। আমাদের দেখলেই পাপ্পারাৎজিরা ছুটে আসত। সেইরকমই একটা ছবি ছড়িয়ে পড়ে যখন আমি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছি। স্কুলের কম্পিউটার ল্যাবে ঢোকামাত্রই দেখতে পাই স্ক্রিনে সবাই আমার ছবি দেখে হাসাহাসি করছে। খুব অস্বস্তিকর পরিস্থিতি মধ্যে পড়তে হয়েছিল। এমননি শিক্ষিকাদের ব্যবহারেও পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলাম।

তিনি বলেন, প্রথমটায় বুঝতে পারিনি যে কেন আমাকে খারাপ মেয়ে ভেবে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন তারা। বন্ধুরাও কেমন আড়চোখে তাকাত। সবাই জিজ্ঞেস করত কবে স্কুলের পাঠ চোকাব? কিংবা ইয়াহু সার্চিং সাইটে আমার ছবিই বা গেল কী করে?

এমএ