একটা অদ্ভুত পরিবারে বাস করেন কেয়া পায়েল। যেখানে তার বাবা-মা, ভাই-বোন-ভাবি; সবাই একত্রে বসবাস করেন। অথচ পরিবারের সদস্যরা কেউ কারও সঙ্গে কথা বলে না। বললেও সেটার বার্তাবাহক হন ঘরের কনিষ্ঠ সদস্য কেয়া।

এমনই এক অদ্ভুত ঘরের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ঈদের বিশেষ নাটক ‘চিড়িয়া ঘর’। এর অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করেছেন কেয়া পায়েল। আরও আছেন তৌসিফ মাহবুব, সাইদুর রহমান পাভেল, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু প্রমুখ। সিএমভি’র ব্যানারে নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন ও বানিয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি।

নির্মাতা বাপ্পি বলেন, একটি অদ্ভুত পরিবারের গল্প রয়েছে এই নাটকে। যে পরিবারের একমাত্র প্রাণস্পন্দন ছোট মেয়ে কেয়া পায়েল। যার কাজই হচ্ছে পরিবারের সব সদস্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা। অথচ সেই মেয়েটিই নিজের মনের মানুষটিকে পেতে পোড়াতে হচ্ছে কাঠ-খড়।

নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে কেয়া পায়েল বলেন, ‘বিধাতার কাছে কিছু চাইলে সেটা বুঝে শুনে চাইতে হয়। তা না হলে কখন কোন চাওয়া কবুল হয়ে যায়, সেটা বলা মুশকিল। যেমন, আমার চরিত্রের মেয়েটি ছোটবেলা থেকে চিড়িয়াখানা খুব পছন্দ করতো। মনে মনে ভাবতো, সে যেন আজীবন এমন চিড়িয়াখানায় আসতে পারে। বড় হওয়ার পর মেয়েটি লক্ষ্য করলো, তার নিজের ঘরটাই চিড়িয়াখানায় পরিণত হয়েছে! এমনই এক অদ্ভুত পরিবারের গল্প এটি।’

প্রযোজক এসকে সাহেদ আলি পাপ্পু জানান, সদ্য শুটিং শেষ হওয়া বিশেষ এই নাটকটি ঈদের অন্যতম নাটক হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।

এনএইচ