ভারতের চণ্ডীপুরের তৃণমূলের বিধায়ক ও টলিউড অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। শুক্রবার রাতে নিউটাউনের একটি রেস্তোরাঁর মালিককে চড় মেরেছিলেন তিনি। এরপর এ বিষয়টি নিয়ে রেস্তোরাঁর বাইরে তাদের মাঝে হাতাহাতি হয়েছে। এদিকে মারধরের বিষয়টি নিজে থেকেই স্বীকার করেছেন সোহম।

এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে সোহম বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমন কাজ করা উচিত হয়নি। ভুল হয়েছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। সেদিন রাতে আগে আমার ও আমার প্রযোজনা সংস্থার কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। অকথ্য গালিগালাজ করা হয়, কু-কথা বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও। সেই সময়ে মাথা ঠিক রাখতে পারিনি।’

তিনি জানান, যে ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছেন ওই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ, তাতে শুধু তার হাতাহাতি দেখানো হয়েছে। কিন্তু আসল ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে আধ ঘণ্টা বা ৪৫ মিনিট আগে। সেদিন সন্ধ্যায় তারা শুটিং করতে যাওয়ার সময় থেকেই কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। পরে রেস্তোরাঁর মালিক অভদ্র ব্যবহার শুরু করেন। তার এবং তার দেহরক্ষীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এমনকি, দেহরক্ষীর গায়ে হাতও তোলা হয় বলে দাবি করেছেন এ অভিনেতা।

রেস্তোরাঁ মালিক আনিসুলকে মারধর করার প্রসঙ্গে সোহম বলেন, ‘সে তো মেরেছিই। কটূক্তি করেছে এবং অভিষেককে নিয়ে গালিগালাজ করেছে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। চারটে চড় মেরেছি। ধাক্কা দিয়েছি। অভিনেতারাও মানুষ। আমাদেরও আবেগ আছে। তারই প্রতিফলন হয়েছে। ছোটখাটো বিষয় পুলিশ দেখছে।’

এ অভিনেতা জানিয়েছেন, তারা অনুমতি নিয়েই সেই রেস্তোরাঁয় শুটিং করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে নানা রকম আপত্তি তোলেন মালিক। সোহমের প্রযোজনা সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই রেস্তোরাঁয় শুটিং করার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও ঝামেলা শুরু হয়। এক মহিলা আহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফে। 

এদিকে মালিকের দাবি, তিনি শুধুমাত্র হোটেলের গেট থেকে গাড়ি সরিয়ে পার্কিংয়ে রাখতে বলেছিলেন। আর এ কারণেই তার উপর চড়াও হন সোহম ও তার নিরাপত্তারক্ষীরা। বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি ওই রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এ মালিক।

এমআইকে/