কঙ্গনা রানাওয়াতের চড় কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই কলকাতায় ঘটে গেলো এক চড় কাণ্ড। এক রেস্তোরাঁ মালিককে চড় মেরে বসলেন টালিউড অভিনেতা ও তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। শুক্রবার রাতে নিউটাউনের একটি রেস্তোরাঁর সামনে এ ঘটনাটি নিয়ে চলে তুমুল হাতাহাতি। যদিও মারধরের বিষয়টি নিজে থেকেই স্বীকার করেছেন সোহম।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, শুক্রবার নিউটাউন সাপুরজি এলাকায় সোহমের শ্যুটিং চলছিল। সেখানে একটি রেস্তোরাঁর বাইরে শ্যুটিংয়ের অনেক গাড়ি রাখা ছিল। এ সময় রেস্তোরাঁর মালিক তার হোটেলের সামনে থেকে একটি গাড়ি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। সোহমের নিরাপত্তারক্ষীরা উত্তর দেন, ‘বিধায়কের শ্যুটিং চলছে, তাই এখান থেকে কোনও গাড়ি সরবে না।’

এমন উত্তরে তখন কড়া ভাষায় গাড়ি সরাতে বলেন ওই রেস্তোরাঁ মালিক। বলেন, ‘বিধায়ক যেই হোক না কেন, গেট থেকে গাড়ি সরাতে হবে। আমার গেস্ট আসবে।’ আর নিয়েই শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। হইচই শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সোহম। একপর্যায়ে হাতাহাতি, এরপর ঘটে চড় কাণ্ড।

সোহমের কথায়, ‘হোটেলের মালিক দাম্ভিক আচরণ শুরু করেন। আমি শুনতে পাই যে, “কে এমএলএ আমার জানার দরকার নেই।” সব থেকে বড় কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বাজে কথা বলেছেন। তখনই মাথাটা গরম হয়ে যায়। তবে হ্যাঁ, মেরেছি।’

এদিকে মালিকের দাবি, তিনি শুধু মাত্র হোটেলের গেট থেকে গাড়ি সরিয়ে পার্কিংয়ে রাখতে বলেছিলেন। আর এ কারণেই তার উপর চড়াও হন সোহম ও তার নিরাপত্তারক্ষীরা। বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি ওই রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই মালিক।

ডিএ/