ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। এ অভিনেত্রীর জয় নিয়ে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চলছে আলোচনা-সমালোচনা। 

এদিকে লোকসভা নির্বাচনের ফল হতাশ করেছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে। যদিও তার চোখে, এই বাংলার সব থেকে বড় প্রহসন রাজনীতি এবং নির্বাচন। শিক্ষা, মননশীলতা যে বাঙালির পরিচয়, সেই বাঙালির এমন ‘অবনমন’ মেনে নিতে পারছেন না তিনি। পাশাপাশি সায়নীকে নিয়ে এবার কথা বললেন এ অভিনেত্রী। 

মঙ্গলবার (৪ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা মিত্র বলেন, ‘শিক্ষিত মানুষ দীপ্সিতা ধরকে পছন্দ করছেন না! এটা মেনে নিতে সত্যিই কষ্ট হচ্ছে।’ তবে এত কিছুর পরও সংগঠন নিয়ে আশাবাদী এ অভিনেত্রী। 

তার প্রমাণ তিনি রেখেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই। একটি বিশেষ ভক্তদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে কাস্তে-হাতুড়ি-তারা প্রতীকের পাশে দৃঢ় হরফে লেখা, ‘এ হৃদয় দপ্তর পাল্টাচ্ছে না।’

এবারের নির্বাচনের ফলাফল বিস্মিতও করেছে শ্রীলেখা মিত্রকে। সায়নী ঘোষ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাংশু ভট্টাচার্য, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফলাফল দেখে এমনই জানিয়েছেন। 

গত লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে মিমি চক্রবর্তী তৃণমূল থেকে নির্বাচন করে ভোটে জিতে ছিলেন। এবার তৃণমূল থেকে নির্বাচন করে সায়নী ঘোষ এক লক্ষেরও বেশি ভোটে এগিয়ে হয়েছে। শ্রীলেখা বুঝেই উঠতে পারছেন না, যে কোনও প্রার্থী তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ালেই যাদবপুর লোকসভায় জিতে যান কী করে?

তবে হতাশ হলেও এই ফল যে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল তা নয় এমনটা জানিয়েছেন শ্রীলেখা। সদ্য সুধীর মিশ্রর সঙ্গে শুটিং করে কলকাতায় ফিরেছেন তিনি। তার দাবি, অন্য রাজ্য অন্য শহরেও বাংলাকে নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে। সেখানে সকলেই বুঝতে পারেন, এ রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি ভালো না। সত্যিই এখানে সৎ ভাবে কাজ পাওয়া যায় না।

এমআইকে/