ইনস্টাগ্রাম ফিডে হঠাৎ করেই আটকে গেল চোখ! জিন্স-টপ আর কানে ব্লুটুথ হেটফোন গুঁজে অতিথিদের সামনে খাবার পরিবেশন করা হোটেল গার্ল নন্দিনীকে চেনাই দায়! পরে আছে মেরুন রঙের একটি ভারি কাজের সিল্কের শাড়ি। তাতে সোনালি জরির কাজ। চড়া মেকআপ, চুলের খোঁপায় গোঁজা গোলাপ ফুল। গা ভরা গয়না।

আসলে এই সাজ ছিল একটি ব্রাইডাল শ্যুটের অংশ। মেকআপ আর্টিস্ট অমিত কর্মকারের সঙ্গে কোলাবরেশনে কাজটি করা হয়েছে।

যদিও নন্দিনীকে মডেল হিসেবে খুব একটা মনে ধরেনি নেটিজেনদের। ভিডিওর কমেন্ট সেকশনেই তার প্রমাণ পাওয়া গেল। একজন লিখেছেন, ‘তোমার অন্য কাজগুলো খুব ভালো লাগে কিন্তু এটা ভীষণ বেকার লাগছে। পুরো বেকার লুক। রিপ ব্রাইডাল মেকআপ।’

দ্বিতীয়জন লেখেন, ‘জঘন্য লাগছে। মনে হচ্ছে একটা ছেলেকে মেয়ে সাজানো হয়েছে। এই বোধটাও নেই তোমার? তার থেকে না সাজা অবস্থায় অনেক বেশি ভালো লাগছিল।’ 

তৃতীয়জন লেখেন, ‘আসলে মানুষ নন্দিনীকে ঘৃণা করে। তাই কমেন্ট সেকশনে নেতিবাচক মন্তব্যের বন্যা। তুমি যতই চেষ্টা করো নন্দিনীকে নিয়ে কথা বলার, কেউ পাত্তা দেবে না। তাহলে ভাবো, মানুষ কতটা ঘৃণা করে এই মেয়েটাকে।’

করোনা পরবর্তী সময়ে হঠাৎই নন্দিনী পেয়েছিলেন খ্যাতি। এক ফুড ভ্লগারের নজরে চলে আসেন ডালহৌসির অফিস পাড়ায় রাস্তার পাশে ফুটপাথ চালানো মেয়েটি। সেই ভ্লগার নাম দেয় স্মার্ট দিদি হিসেবে। ধীরে ধীরে দোকানে যেমন ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে, তেমনই ভিড় জমাতে থাকেন ইউটিউবাররাও। আর খ্যাতি নিয়ে এল বিড়ম্বনাও। 

একসময় দিনে ২০-৩০ জন ক্রেতা আসতো দোকানে। তারপর নন্দিনীকে দেখার টানে ১০০-১৫০ লোক আসতে থাকে রোজ। দুপুরের পর আর থাকে না খাবার। দূর থেকে মানুষ আসে এই দোকানে। বাংলাদেশ থেকেও লোক যেতে দেখা গেছে। 

তবে নন্দিনীর প্রতিদিন ঝগড়ায় জড়ানো, কখনও বাবার সঙ্গে, কখনও দোকানের কর্মচারীর সঙ্গে, কখনও খেতে আসা অতিথি, তো কখনও পথচারীর সঙ্গে, জায়গা করে নিয়েছে ইউটিউবে। বর্তমানে নিউডাউনেও ২টি দোকান খুলেছেন তিনি। নাম রেখেছেন ‘নন্দিনীর হেঁশেল’।

পিএইচ