বিশ্বখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী ও গায়িকা জেনিফার লোপেজ। সদ্য মুক্তি পাওয়া সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র ‘অ্যাটলাস’ এ মুখ্য চরিত্র শেফার্ডের ভুমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রটি বর্তমানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ এআই প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে।

নানা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, সাথে অ্যাকশন নিয়ে নির্মিত এই ফিল্মে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভয়াবহতাকে তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি এই ছবির প্রচারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এআই কীভাবে অবিশ্বাস্যভাবে ভুল হতে পারে সেটাই ছবিতে দেখানো হয়েছে। এই চলচ্চিত্রের কিছু দৃশ্যের আলোচনার সময় এআইয়ের দ্রুত প্রসারে তিনি তার অবস্থান থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘আমি মনে করি এই ছবিটি এআই প্রযুক্তির ভাল এবং মন্দ দুটি দিকই অবিশ্বাস্যভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।’

ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের খবর, শুধু চলচ্চিত্রের এক্সপ্লেনেশনে নয়, এর বাইরে অর্থাৎ বাস্তব জীবনেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এই অভিনেত্রী।

নিজের জীবনের একটি ঘটনা তুলে এনে লোপেজ জানান, এই প্রযুক্তির জন্য তিনি নিজেও ভুক্তভোগী। একটি স্কিনকেয়ার-এর বিজ্ঞাপনে জেনিফারের মুখের দাগ দেখানো হয়েছিল স্পষ্টভাবে। জেনিফারের দাবি, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য সেটা সম্পূর্ণ এআই প্রযুক্তির সাহায্যে এমন দৃশ্য তৈরি করা হয়েছিল। সে থেকেই অভিনেত্রী বিষয়টিকে অত্যন্ত ভয়ংকর মনে করছেন। কারণ এই প্রযুক্তি যেকোনো সময়ে তথ্য চুরি করতে পারে।

যদিও এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে সুবিধা নেওয়া যায় বলেও স্বীকার করেছেন লোপেজ। অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমি মনে করি নতুন এই প্রযুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার। আমাদের সকল সম্ভাবনায় উন্মুক্ত থাকতে হবে। যে সিনেমাগুলি এআই নিয়ে কথা বলছে সেগুলো নিঃসন্দেহে ভাল। এতে বিষয়টি সম্পর্কে সকলেরই ধারণা হবে। সকলে সচেতন থাকতে পারবেন।’

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র জগতের পাশাপাশি মার্কিন নৃত্যের রানি হিসেবে সুখ্যাতি পেয়েছেন জেনিফার লোপেজ। হলিউডে ল্যাটিন আমেরিকানদের জন্য বাধা ভাঙার এবং সঙ্গীতে ল্যাটিন পপ আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে এই গায়িকা-অভিনেত্রীকে।

ডিএ/