অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ব্যক্তি জীবন নিয়ে নানা কারণে আলোচনা-সমালোচনার শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি জুয়া কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও শেয়ার করেন।

ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি মাহিয়া মাহি। আজকে আমি তোমাদের জন্য দারুণ একটি নিউজ নিয়ে এসেছি। আমি নতুন এক ফ্যামিলিতে যোগ দিতে যাচ্ছি। সেখানে জয়েন হতে যাচ্ছি শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। অনেক চমক নিয়ে আসব তোমাদের কাছে।’

এরপর সেই ভিডিওতে ভক্তদের অনেকে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তাজ সোহেল নামে একজন লিখেছেন, ‘রাজশাহীর মেয়েদের কি ভোটের সময় এই ইনকামের কথায় বলেছিলেন ফ্রিল্যান্সিং। প্রতারককে এই জন্য কেউ ভোট দেয় নি।’

সামিয়ুল ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘এরকম নিষিদ্ধ বেটিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হওয়া কী তার শোভনীয়? এতে মাহির নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এদিকে মাহির হাতে নেই নতুন সিনেমা। নির্বাচনে হেরেছেন। দ্বিতীয় সংসার ভেঙেছে। তবে নিজেকে ফিরে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাই নিজের বিবেক নষ্ট করে জনগণ কে জুয়া খেলতে বলছেন।’

এবার মাহি আলোচনা-সমালোচনার বিষয়ে মুখ খুলেছেন। গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘জুয়া কোম্পানিতে যুক্ত হয়ে অবৈধ কিছু করিনি। চুক্তিতে স্পষ্টভাবে লেখা আছে ক্রিকেট রিলেটেড ইনফরমেটিভ প্ল্যাটফর্ম অ্যান্ড নট প্রমোটিং ক্যাসিনো। আমি এভাবেই তাদের সঙ্গে চুক্তি করেছি। আমাদের দেশের অনেকেই এ ধরনের চুক্তি করেছেন। আর অবশ্যই আমি বেটিং অ্যাপের সঙ্গে নেই, ভবিষ্যতেও থাকব না।’

উল্লেখ্য, মাহিয়া মাহি ২০১২ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘ভালোবাসার রং’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। ২০১৩ সালে মাহির পরপর তিনটি চলচ্চিত্র সাফল্যের মুখ দেখে, এবং তিনি অভিনেত্রী হিসেবে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেন।

২০১৪ সালে বেশ সাফল্যের সঙ্গেই কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। অগ্নি, কি দারুণ দেখতে, দবির সাহেবের সংসার, হানিমুন, অনেক সাধের ময়না এবং দেশা: দ্য লিডার এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

এমআইকে/