হাজারো বিতর্ক পেরিয়ে বিশ্বে রেকর্ড গড়ল ‘হীরামাণ্ডি’
হাজারো বিতর্ক আর সমালোচনার পাহাড় ডিঙিয়ে নতুন মাইলফলক গড়েছে সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামাণ্ডি’। সিরিজটি রিলিজের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন বিশ্বে রেকর্ড গড়ল। ওটিটির ময়দানে ‘হীরামাণ্ডি’র রথ অপ্রতিরোধ্য।
পুরো বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দর্শক টানা ভারতীয় সিরিজের খেতাব পেয়েছে বনশালির ওটিটি ম্যাগনাম অপাস। ৪৩টি দেশের নীরিখে সেরা দশে নাম তুলে ফেলেছে ‘হীরামাণ্ডি’।
বিজ্ঞাপন
‘হীরামাণ্ডি’ নিয়ে কেন এতো বিতর্ক?
বিতর্ক শুরু সিরিজের কাস্টিং, প্রেক্ষাপট নিয়ে। ‘লাহোর বলে লখনউ দেখালেন, কোনও রিসার্চ নেই!’ বলে যখন ক্ষোভে ফুঁসছে পাকিস্তান, তখন নিজের দেশেও সিরিজ মেকিং নিয়ে প্রতিপদে চর্চার মুখে পড়তে হচ্ছে বলিপাড়ার ‘পারফেকশনিস্ট’ প্রযোজক-পরিচালককে।
আরও পড়ুন
কারও দাবি, ঐতিহাসিক তথ্যে ভুল করেছেন বনশালি। তো কেউ বা আবার কাস্টিংয়ের জন্য স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি সিরিজের সংলাপে ব্যবহৃত উর্দু নিয়েও আপত্তি তুলেছেন দর্শকদের একাংশ।
এদিকে সিনেবাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ ইনস্টা পোস্টে জানান, সঞ্জয় লীলা বনশালির ডেবিউ ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’ এযাবৎকালের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী সবথেকে বেশি দেখা ভারতীয় সিরিজের শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দরি, শেখর সুমন, অধ্যয়ন সুমন, ফারদিন খানের মতো তাবড় কাস্টিং নিয়ে তৈরি ‘হীরামাণ্ডি’।
পয়লা মে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। সঞ্জয় লীলার বনশালির ১৮ বছরের স্বপ্ন। তিল তিল করে নিজে হাতে গড়ে তুলেছেন সিরিজটিকে। কোনওরকম কসরত বাকি রাখেননি পরিচালক-প্রযোজক। কারণ, বনশালি মানেই ‘লার্জার দ্যন লাইফ’ সেট, সাজপোশাক। এই সিরিজে কোটি কোটি টাকার শুধু গয়নাই ব্যবহৃত হয়েছে। রিচা চাড্ডা জানিয়েছিলেন, মোট ৩০০ কেজিরও বেশি গয়না ছিল। যা দুর্মূল্য মুক্তো, পান্না, হিরে দিয়ে তৈরি। সেটও চোখধাঁধানো। সেই বিগবাজেট ‘হীরামাণ্ডি’ই মুক্তির পর থেকেই চর্চার শিরোনামে। তবে নিন্দুকদের পালটা জবাব দিয়ে দিল ‘হীরামাণ্ডি’র রেকর্ড।
এমএসএ