কলকাতার ছোট পর্দার পরিচিত মুখ কৃষ্ণা মুখার্জি। ‌‘ইয়ে হ্যায় মহাব্বতে’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। এরপরই বলিউডে পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নেন এই অভিনেত্রী। 

নিজের স্বপ্নপূরণে পা রেখেছিলেন বলিউডের জগতেও। কিন্তু সেখানে গিয়েই এমন ভয়াবহ কিছুর অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা কোনোভাবেই মন থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না তিনি। কী ঘটেছে কৃষ্ণার সঙ্গে, সেটাই ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

কৃষ্ণা মুখার্জি সেই পোস্টে জানিয়েছেন, তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেকআপ রুমে আটকে রাখা হয়। এমনকি কাজের পরেও পাঁচ মাসের বেতন পর্যন্ত পাননি। প্রাপ্য টাকা পাওয়ার বদলে তাকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হয়েছে প্রযোজকের পক্ষ থেকে। আর সেই ভয়ে তিনি এতদিন না পেরেছেন মুখ খুলতে, না পেরেছেন নতুন ধারাবাহিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে। পুরো বিষয়টি নিয়েই মানসিক অবসাদে ভুগছেন তিনি।

কৃষ্ণা তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি কখনও আমার মনের কথাটা বলার সাহস দেখাতে পারিনি। কিন্তু আজ ঠিক করেছি আর নয়। গত দেড় বছর ধরে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমি একা থাকলেই দুশ্চিন্তায় ভুগছি, আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। অবসাদে ভুগছি। আর এসবের শুরু, আমি যখন শেষবারের মতো দঙ্গল টিভির জন্য শুভ সগুন ধারাবাহিকে কাজ করছিলাম তখন থেকে। ওটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। প্রযোজক কুন্দন সিং আমাকে নিয়মিত হয়রানি করতেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে মেকআপ রুমে আটকে রাখতেন।’

এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘তারা আমাকে টাকা দিত না। আমি যখন জামা বদলাতাম, তখন এমনভাবে দরজা ধাক্কা দিত মনে হতো যে ভেঙে ফেলবে। এরপর আমি অসুস্থ ছিলাম বলে কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেই।’

কৃষ্ণা তার পোস্টে আরও লেখেন, ‘আজ পাঁচ মাস হয়ে গেছে আমি এখনও বকেয়া টাকা পায়নি। অনেকবার দঙ্গল টিভির অফিসে গিয়েছি, প্রযোজকের অফিসে গিয়েছি। কেউ সহযোগিতা করেননি। আমার মনে হচ্ছে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

এনএইচ