কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

অভিনেতার মৃত্যুর খবরে শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রুমিকে স্মরণ করে ফেসবুক লাইভে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সহ-অভিনেতা মীর সাব্বির। যেখানে এই অভিনেতা জানিয়েছেন, সবশেষ নাটকেও একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল দু’জনের। 

মীর সাব্বির বলেন, ‘রুমি ভাইয়ের সঙ্গে আমার অসংখ্য স্মৃতি আছে। আর আমি এখন রুমি ভাইকে শেষবারের জন্য দেখে শুটিংয়ে যেতে হচ্ছে। এটাই করুন বাস্তবতা। আজ রুমি ভাই চলে গেছে, এভাবে আমরা সবাই চলে যাবে।’

একসঙ্গে একাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন রুমি এবং সাব্বির। পর্দার আড়ালেও রয়েছে দুজনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। এমনকি দুই অভিনেতা মিলে সম্প্রতি এক নাটকেও অভিনয়ের কথা ছিল। 

বিষয়টি উল্লেখ করে মীর সাব্বির বলেন, ‘আমি এখন যে নাটকের শুটিং করতে যাচ্ছি সেখানে রুমি ভাইয়েরও অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি চলে যাচ্ছেন বরগুনা, উনার মায়ের কবরে তাকে দাফন করা হবে। আমার নিজের বাড়িও বরগুনা, তবুও তার জানাজায় যেতে পারলাম না। আমার অনুরোধ থাকবে যারা বরগুনায় আছেন রুমি ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিবেন।’

ঈদের দিন ওয়ালিউল হক রুমির সঙ্গে দেখা করেন মীর সাব্বির এবং তার স্ত্রী ফারজানা চুমকি। সে কথা স্মরণ করে সাব্বির বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে ঈদে হাসপাতালে গিয়েছিলাম দেখা করতে....।’ এরপরই আর কান্না সামলে রাখতে পারেননি এই অভিনেতা। কেঁদে ফেলেন ফেসবুক লাইভেই।  

এদিকে সোমবার সকালে খিলগাঁওয়ের শহীদবাগ জামে মসজিদে সকালে ওয়ালিউল হক রুমির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর মরদেহ বরগুনায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে আরেকটি জানাজা শেষে মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন এই অভিনেতা।

বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাতেই বেশি অভিনয় করেছেন রুমি। ১৯৮৮ সালে ‘এখন ক্রীতদাস’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে যাত্রা শুরু তার। টেলিভিশনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় অভিনেতার। 

এনএইচ