গীতিকবি হিসেবে তার লম্বা ক্যারিয়ার। সেই শূন্য দশকের মাঝামাঝিতে শুরুটা করেছিলেন। মুখর পথচলা এখনও রেখেছেন জারি, সমান ছন্দে, গতিতে। তিনি রবিউল ইসলাম জীবন। এই যেমন এবারের ঈদ-বৈশাখ উৎসবেও একগুচ্ছ গান উপহার দিয়েছেন তিনি। 

জীবনের কথায় এই দুইটি উৎসবে শ্রোতারা পেয়েছেন অন্তত দশটি গান। এসব গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান, কোনাল, মাহতিম শাকিব, অবন্তি সিঁথি, শাওন গানওয়ালা, লুইপা, আতিয়া আনিসা, পিন্টু ঘোষ, বালামের মতো তারকারা। 

এমন গানময় উৎসব পেরিয়ে উচ্ছ্বাস নিয়েই জীবন তার অনুভূতি ব্যক্ত করলেন। বললেন, ‘ঈদ আমাদের সবার কাছেই সবচেয়ে আনন্দের উৎসব। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হলো বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। ফলে আনন্দ-উল্লাস দ্বিগুণ। আর এই ডাবল উৎসবে কিছু গান নিয়ে শ্রোতাদের মনে-কানে জায়গা করে নিতে পারছি, এটাই তো দারুণ ব্যাপার। ব্যক্তিগতভাবে সবগুলো গানই আমার পছন্দের। শিল্পীরা নিজ নিজ জায়গা থেকে দারুণ করেছেন। সবগুলো গান এখনও প্রকাশ্যে আসেনি, তবে যে’কটি এসেছে, সেগুলো থেকে শ্রোতাদের ভালোবাসা পাচ্ছি।’

জীবন জানালেন, সাতটি গান ব্যবহৃত হয়েছে ঈদ-বৈশাখের বিশেষ নাটকে। আর দুটি গান থিম সং এবং একটি মিউজিক ভিডিও হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। 

গানগুলোর মধ্যে চারটির সুর-সংগীত করেছেন শোভন রায় (এক আঁজলা বৃষ্টি-শাওন ও লুইপা; জান কলিজা পাখি-সজীব দাশ; হারিয়ে ফেলেছি তোমায়-অরিন্দল অন্তর; লাল নীল স্বপ্ন-তাসনিম আনিকা), দুটি গানের সুর-সংগীতায়োজন শাহরিয়ার আলম মার্সেলের (মায়ার সুতো-ইমরান ও কোনাল; আমি যেদিকেই যাই-কোনাল)। এছাড়া রয়েছে সাজিদ সরকারের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘আমার হয়ে থেকো’-মাহতিম ও অবন্তি, মিনহাজ জুয়েলের সুর ও সংগীতে ‘নিয়তি’-পিন্টু ঘোষ, নাজির মাহমুদের সুরে ‘আজ তবে দেখা হোক’-ইমরান ও আতিয়া আনিসা, বালামের সংগীতায়োজনে ‘এই দিন সেই দিন’-বালাম ও কোনাল। 

গেল বছরই শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ পেয়েছেন রবিউল ইসলাম জীবন। এর আগে তিনবার চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসও পেয়েছেন এই সফল গীতিকবি। বর্তমানে তিনি একাধিক সিনেমা ও নাটকের গান নিয়ে কাজ করছেন। পাশাপাশি নবীন-সফল সংগীতশিল্পীদের গানও লিখছেন নিয়মিত।

এনএইচ