টলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যক্তিজীবনে খুব একটা সুখী ছিলেন না তিনি। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সিঙ্গেল ফাদার হিসেবেই সন্তানকে লালন করছিলেন। 

এরই মধ্যে তার জীবনে আসেন অভিনেত্রী লাবণী সরকার। ক্যারিয়ার, ব্যক্তিজীবনের নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন এই অভিনেত্রী নিজেও। এমন অবস্থায় পরিচয় হয় দুজনের। 

কৌশিক আবিষ্কার করেন, ঠিক তার মতোই লবণীও ব্যক্তিজীবনে অসুখী। দুটি ভগ্নহৃদয় মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এরপর। ধীরে-ধীরে লাবণী-কৌশিকের প্রেম হয় এবং বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। 

নিজেদের এই বিয়েতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছিলেন কৌশিকের ছেলে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সিঙ্গেল ফাদার হিসেবেই মায়ের অভাব মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন অভিনেতা। 

এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, বাবারা কখনও মায়ের অভাব পূরণ করতে পারেন না। মা যেটা করতে পারেন, বাবারা তা কখনোই পারেন না। 

শুটিংয়ের ফাঁকে বাড়িতে এসে কৌশিক দেখে যেতেন ছেলে ঠিকমতো খেয়েছে কি না। কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ছেলেকে সামলাতে হতো সমানতালে। সবকিছুই মোটেও সহজ ছিল না তার জন্য। 

একটা সময়ে লাবণীর আবির্ভাব ঘটে অভিনেতার জীবনে। ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কৌশিক। ছেলেকে আপন করে নেন অভিনেত্রী মা। কখনোই ‘সৎ মা’ হিসেবে দেখেননি তিনি। এমনকি ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের সংসারে নতুন করে কোনো সন্তান নেওয়ার কথাও ভাবেননি লাবণী। 

এক সাক্ষাৎকারে লাবণী সম্পর্কে কৌশিক বলেছেন, ‘লাবণী আমার পুত্রকে জন্ম দেননি। কিন্তু তাদের মধ্যে যা সম্পর্ক, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। লাবণীর মতো ভালো মা আমি পেতাম না ছেলের জন্য। আমার ছেলেও লাবণীকে পেয়ে ধন্য।’

এই পুত্রের জন্য কোনোদিন সন্তান নেওয়ার কথা ভাবেননি লাবণী। কথায় আছে, সৎ মায়েরা আপন হতে পারেন না। কিন্তু লাবণীর বেলায় সেটা হয়নি। তিনি সমস্ত চিরাচরিত প্রবাদকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন। 

এনএইচ