লিজার বাগান ফুলে ভরা
সংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেলেও পড়াশোনা, উপস্থাপনা, ব্যাডমিন্টন প্রভৃতি মাধ্যমেও নিজের প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন সানিয়া সুলতানা লিজা। ২০০৮ সালের ক্লোজআপ ওয়ান বিজয়ী এই তারকা যেটাই করেন সেখানেই পান সাফল্য। আর তাই তো পরিচিতজনদের কেউ কেউ তাকে ‘অলরাউন্ডার’ বলেও সম্বোধন করেন! এবার নিজের বাসায় ছাদকে বাগান বাগিয়েছেন এই গায়িকা। সাজিয়েছেন ফুল গাছের পসরা!
গত বছর করোনাকাল শুরু হলে আর সবার মতো লিজাও ঘরবন্দি হয়ে যান। সে সময় হাতে থাকা অফুরন্ত সময় কাটাতে ছাদে উঠতে উঠতেই লিজার এই স্বপ্নের সূচনা। করোনার এক বছরে সোবহানবাগের বাসার ছাদটাকে বাগানে রূপান্তর করে ফেলেন তিনি। বর্তমানে লিজার বাগানে শোভা পাচ্ছে ১২০টি ফুল টব।
বিজ্ঞাপন
লিজা বলেন, ‘আগে তো এত সময় পেতাম না। করোনাকালে হাতে প্রচুর সময় থাকায় নিয়মিত ছাদে যাওয়া হতো। এভাবেই ফুলের বাগান করার আইডিয়াটা মাথায় আসে। ময়মনসিংহে আমাদের গ্রামের বাড়িতেও অনেক ফুল গাছ আছে। সেখান থেকে কিছু চারা এখানে এখানে লাগিয়েছি। এছাড়া পূর্বাচল, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে গাছগুলো সংগ্রহ করেছি।’
মিষ্টি কণ্ঠের এই গায়িকা জানান, বর্তমানে তার বাগানে রয়েছে ১২ রকমের গোলাপ, ৪ রকমের জবা। এছাড়া পারুল, জুঁই, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ, বেলি, চামেলি, চাপা, বাগানবিলাস, নয়নতারা, অপরাজিতা’সহ আরও ফুলের সৌরভে মুখরিত বাগানটি। রয়েছে বিভিন্ন রকমের মরিচ গাছও।
লিজা বলেন, ‘এবারের লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই আমি বাসায়। সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল বাইরে গিয়েছিলাম। এরপর থেকে বাসা আর ছাদেই আমার দিন কাটছে। কখনো বিকেলে, কখনো রাতের ১০টা-১১টায়র দিকে ছাদে যাই। ফুল গাছগুলোর পাশে গিয়ে যখন দাঁড়াই, বসি কিংবা স্পর্শ করি মনটা শীতল হয়ে যায়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অনেক মন খারাপের মাঝেও আমাকে ভালোলাগার উপলক্ষ এনে দিয়েছে এই ফুলের বাগান। বাসায় থাকলেও মাথার ভেতর ছাদটা ঘুরে, ফুলের সুবাস উড়ে!’
‘পাগলি সুরাইয়া’ গানের এই গায়িকা আরও জানান, বর্তমানে তার অবসরের বেশিরভাগ সময় কাটছে গাছগুলোর পরিচর্যা করে। এছাড়া তার বাবাও গানগুলোতে নিয়মিত পানি দেন। সহায়তা করেন মা এবং ছোট ভাইও। গানের পাখি লিজা এখন নিজের ফুল বাগানে উড়ে বেড়াচ্ছেন প্রতিটি বিকেল-সন্ধ্যায়। মনটাকেও ফুলের মতো করে সাজানোর স্বপ্ন তার!
উল্লেখ্য, কদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে লিজার নতুন গান-ভিডিও ‘পাখি’। সুর করার পাশাপাশি এতে তার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন বেলাল খান। গানটির জন্য ভালোই সাড়া মিলছে।
আরআইজে