বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের স্ত্রী অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না। বেশ কিছু ছবিতে কাজ করলেও সাফল্য সেভাবে আসেনি। তবে একজন লেখক বা বক্তা হিসেবে তার জুড়ি মেলা ভার। নারী দিবস উপলক্ষ্যে সামাজিক মাধ্যমে একটি বিশেষ পোস্ট শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। 

সেই পোস্টে টুইঙ্কেল খান্না নিজের নাম লিখে কেটে দিয়েছেন। তারপরের লাইনে তিনি লেখেন কুমারস প্লাস ওয়ান। পুরুষের পরিচয়ের ছত্রছায়াতেই যে আজও নারীরা বেঁচে থাকেন এটা তারই প্রতিবাদ বলে মনে করেছিলেন অনুরাগীরা। তাদের ধারণাকে সত্যি প্রমাণ করে এই পোস্টের সাফাই দিয়েছেন অভিনেত্রী।

টুইঙ্কেলের এই নিস্তব্ধ প্রতিবাদ কীসের জন্য সেটা প্রথমে কেউই বুঝতে পারছিলেন না। অনেকের ধারণা, স্বামীর পদবিই একজন নারীর পরিচয় হতে পারে না সেটা বোঝাতে চেয়েছেন। কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইঙ্কেলের পোস্টে আম্বানিদের বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রকে টেনে এনেছেন। 

একজন মজা করে লেখেন, আম্বানিদের বিয়ের অনুষ্ঠানে নিশ্চয়ই টুইঙ্কেলের নাম না লিখে কুমারস প্লাস ওয়ান লেখা ছিল। কমেন্ট বক্সজুড়ে নানা মত। পরে সেই রহস্যের সমাধান নিজেই করলেন অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না। তিনি বলেন, পুরুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা পলিসিগুলোতে তো তাদের নামের সঙ্গে স্ত্রীর নামটা প্লাস করেই লেখা থাকে। এই পুরো বিষয়টার নেপথ্যে রয়েছে একটি বিজ্ঞাপনের প্রচার।

একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হলো কুমারস প্লাস ওয়ান। টুইঙ্কেল উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, বাস্তবে তো এটাই হয়ে থাকে। পুরুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা পলিসিতে তো এটাই ব্যবহার করা হয়। সত্যিই যদি এই প্লাস পরিচয়টাই যদি নারীদের একমাত্র পরিচয় হতো, কোনো নাম না নেওয়া হতো, তাহলে কেমন লাগত? এটি ছিল মূলত নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা পলিসির একটি বিজ্ঞাপন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারই প্রচার করেছেন তিনি।

এমএ