ওপার বাংলার সিনেমা জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী লাবণী সরকার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় পরিচালক দেবাংশু সেনগুপ্তর হাত ধরে সিরিয়ালে নাম লেখান যিনি। সেই সিরিয়াল দিয়েই কপাল খুলে যায় অভিনেত্রীর। 

অল্প বয়সেই কাজের সুযোগ পেয়ে যান অপর্ণা সেনের পরিচালনায় ‘সতী’ সিনেমায়। এক টকশো’তে হাজির হয়ে নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের সেই সময়ের কথা বলতেই রোমাঞ্চিত হয়ে উঠলেন লাবণী। 

অভিনেত্রী জানান, ক্যারিয়ারের শুরুতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ছবির নায়িকা চরিত্র হাতছাড়া হয়েছিল তার। সেটাও কিনা বাবা চাননি বলে। কোন সিনেমার কথা বলছেন লাবণী? সেটাও স্পষ্ট করেছেন ওই সাক্ষাৎকারে। 

১৯৯২ সালে ‘সিটি অফ জয়’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন লাবণী সরকার। ভারতের অনেক বড় বড় তারকাই কাজ করেছেন এই ছবিতে। সেখানেই সুযোগ পেয়ে যান নবাগত লাবণী। কিন্তু সিনেমায় একটি অ্যাডাল্ট দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে তাকে। যে কারণেই নাকি সরে আসতে হয়েছিল ছবিটি থেকে। 

লাবণীর ভাষায়, ‘ছবির হিরো অভিনেতা প্যাট্রিকের সঙ্গে আমার বাথটাবে একটি অ্যাডাল্ট দৃশ্য ছিল। সেটার কথা জানতে পেরে সেই ছবি থেকে আমাকে সরে আসতে বলেছিলেন বাবা। তিনি আমাকে নিষেধ করেছিলেন এমন দৃশ্যে অভিনয় করতে।’

বাবার কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। বলেন, ‘আমার বাবা সেদিন আমাকে ডেকে বলেছিলেন- তোমাকে তো কোনও কিছুতেই বাধা দেইনি আমি। একটাই অনুরোধ করতে চাই, এই দৃশ্যটার কারণে তুমি এই ছবিতে অভিনয় করো না। তোমার কাছে এটা আমার অনুরোধ। বাবা হয়ে তোমাকে এমন দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখতে পারব না।’

বাবাকে অসম্ভব ভালবাসতেন লাবণী। তাই তার কথার অবাধ্য হননি তিনি। পরিচালককে জানিয়ে দেন নিজের আপত্তির কথা। এরপরই সরে আসেন সেই ছবি থেকে। লাবণী প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে সেই ছবিতে তার পরিবর্তে অভিনয় করেন সুনীতা সেনগুপ্ত।

এনএইচ