জনপ্রিয় পরিচালক কুমার সাহানি আর নেই। শনিবার ৮৩ বছর বয়সে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। সমান্তরাল সিনেমার অন্যতম মুখ কুমার সাহানি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তার ‘মায়া দর্পণ’, তরঙ্গ, ‘খেয়াল গাঁথা’ সহ অন্যান্য ছবির জন্য। 

কুমার সাহানির জন্ম অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ১৯৪০ সালে। দেশভাগের পর তারা সপরিবারে চলে আসেন বোম্বে অধুনা মুম্বাইয়ে। পরে কুমার ভর্তি হন পুণে ফিল্ম ইন্সটিউটে। ঋত্বিক ঘটকের ছাত্র ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনার জন্য পরবর্তী সময়ে ফরাসি সরকারের স্কলারশিপ পান। সান্নিধ্য পান দুনিয়াজোড়া খ্যাতিমান পরিচালকদের। বিখ্যাত পরিচালক রবার্ট ব্রেসোঁর সহকারী হিসেবে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন কুমার সাহানি। 

ছয়ের দশকে শর্ট ফিল্ম দিয়ে শুরু করলেও সাতের দশকের গোড়াতেই নির্মিত হয় ‘মায়া দর্পণ’। এই ছবিটি জাতীয় পুরস্কার পেলেও তারপর একযুগ পরিচালকের হাতে আর কোনও ছবি ছিল না। ১৯৮৪ সালে মুক্তি পায় স্মিতা পাতিল, ওম পুরী, গিরিশ কারনাড, অমল পালেকর অভিনীত ‘তরঙ্গ’।

কুমার সাহানি কোনওদিন বক্স অফিসের কথা ভেবে ছবি তৈরি করেননি। সে কারণেই তিনি তার বোধ বা শিল্পীসত্তার সঙ্গে কখনও আপস করেননি। তার পাণ্ডিত্য ও মার্জিত রুচির ছাপ থাকত তার সৃষ্টিতে। তিনি বলিউডি ঘরানার পরিচালক ছিলেন না, যদিও বলিউডের সব পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের কাছেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত সম্মানীয়।   

এদিকে কুমার সাহানির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, কুমার সাহানি কলকাতায় প্রয়াত হয়েছেন শুনে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। সাহানি একজন অত্যন্ত শক্তিশালী ও স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন, ভারতের সমান্তরাল সিনেমায় যার প্রবল উপস্থিতি অস্বীকার করার উপায় নেই। তার মৃত্যু ভারতীয় সিনেমার ক্ষেত্রে বিরাট ক্ষতি। আমি তার পরিবার, বন্ধু ও অনুগামীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

এমএসএ