রুবেলের মরদেহ সকালে রাখা হবে শিল্পকলায়, বিকেলে দাফন

দুই পর্দার গুণী অভিনেতা আহমেদ রুবেল মারা গেছেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।

জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় অভিনেতার ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী ছিল। এ প্রদর্শনীতেই যোগ দিতে পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে এসেছিলেন আহমেদ রুবেল। সেখানে লিফটে উঠার সময় হুট করে মাথা ঘুরে পরে যান তিনি। এরপর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা অভিনেতাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই রুবেলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বুধবার রাতেই গুণী এই অভিনেতার মরদেহ রাজধানীর একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে গোসল করানো হবে। তারপর রাখা হবে হিমঘরে। বৃহস্পতিবার সকালে আহমেদ রুবেলের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণে আনা হবে। থাকবে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। তারপর নেওয়া হবে গাজীপুরে নিজ বাসভবনে। সেখানেই বাদ আসর জানাজা শেষে দাফন করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম। 

প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আহমেদ রুবেল। তার পিতার নাম আয়েশ উদ্দিন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ইসলামপুরে নানার বাড়ি। পিতা–মাতার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে হলেও ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। 

ঢাকার অন্যতম নাটকের দল ‘ঢাকা থিয়েটার’ থেকে অভিনয়ের হাতেখড়ি আহমেদ রুবেলের। তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘স্বপ্নযাত্রা’। এটি নির্মাণ করেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এরপর হুমায়ূন আহমেদের ঈদনাটক ‘পোকা’–তে অভিনয় করেন। এতে ‘ঘোড়া মজিদ’ চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি নাটক হলো— ‘অতিথি’, ‘নীল তোয়ালে’, ‘বিশেষ ঘোষণা’, ‘প্রতিদান’, ‘নবাব গুন্ডা’, ‘এফএনএফ’ প্রভৃতি।

১৯৯৩ সালে ‘আখেরী হামলা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন আহমেদ রুবেল। এরপর ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘গেরিলা’, ‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’, ‘শ্যামল ছায়া’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।

এনএইচ