গতবছরের ৩ মার্চ মুম্বাইয়ে আইনি বিয়ের পর্ব সারেন আমির কন্যা আইরা। বাবার ফিটনেস কোচ নূপুর শিখরকে বিয়ে করেছেন তিনি। উদয়পুরে বসেছিল আইরা-নূপুরের বিয়ের সেলিব্রেশন। সেখানে খ্রিস্টান রীতিতে চার হাত এক হয় দুজনের। সেই রাজকীয় বিয়ের অজানা তথ্য সামনে এলো এবার।

শ্বেতশুভ্র পোশাকে বিয়ের ভেন্যুতে হেঁটে আসছেন আইরা, সঙ্গী বাবা-মা। সামনে দাঁড়িয়ে চুমু ছুড়ে দিচ্ছেন নূপুর। মায়াবী পরিবেশে বিয়ের আগে আইরা ও নূপুর একে-অপরের জন্য উচ্চারণ করেন প্রতিশ্রুতি। আইরাকে কেন ভালোবাসেন? জবাব দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ নুপূর। বলেন, তোমাকে বিয়ে করা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত।

অন্যদিকে আমির-কন্যা বরকে নিজের ‘সেফ স্পেস’ বলে উল্লেখ করেন। মেয়ে-জামাইয়ের এই রোম্যান্টিক মুহূর্ত দেখে চোখের জল বাধ মানেনি আমিরের। কেঁদে ফেলেন তিনি। তখনই আমিরের হাত শক্ত করে ধরেন প্রাক্তন স্ত্রী, দুই সন্তানের মা রিনা দত্ত।

বিয়ে শেষ হতেই একে-অপরের ঠোঁটে ঠোঁট ডোবাতে দেখা গেল আইরা-নুপূরকে। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হতেই গোটা পরিবারকে হৃদয় উজাড় করে নাচতে দেখা যায়। আমির নিজের মেয়ের সঙ্গে নাচলেন, নাচলেন প্রথম স্ত্রী রিনার সঙ্গে, এমনকি নূপুরের মায়ের সঙ্গেও নাচতে দেখা গেল তাকে।

অনেকেই হয়ত জানেন না, ভালোবেসে ১৯ বছরের রিনাকে বিয়ে করেছিলেন বছর ২১-এর ঝকঝকে যুবক আমির। তাদের প্রেম কাহিনি কোনও ফিল্মের গল্পের চেয়ে কম রোমাঞ্চকর নয়। পাশের বাড়ির মেয়ে রিনার সৌন্দর্যে ছেলেবেলা থেকেই বুঁদ ছিলেন আমির। ঠায় জানলার ধারে ওত পেতে বসে থাকতেন রিনার এক ঝলক পাওয়ার জন্য।

সাহস করে মনের কথা বলেও ছিলেন। কিন্তু সটান ‘না’ বলে দেন রিনা। বার কয়েক প্রপোজ করার পরেও রিনা তরফে নেতিবাচক জবাবই এসেছিল। রক্ত দিয়ে প্রেমপত্র লেখার পাগলামিও করেছিলেন আমির, এতে আরও রেগে যান রিনা। কিন্তু মন গলতে বেশি সময় লাগেনি। আমিরকে ভালোবাসার কথা শেষমেশ স্বীকার করে নেন রিনা। দেরি করেননি আমির। সেরে ফেলেছিলেন বিয়ে ফিল্মি ক্যারিয়ারের একদম শুরুতে। তখনও মুক্তি পায়নি কেয়ামত সে কেয়ামত তাক। ১৯৮৬ সালে বিয়ে হয়েছিল রিনা-আমিরের। ২০০২ সালে ১৬ বছর দীর্ঘ দাম্পত্যে ইতি টানেন দুজনে। তাদের দুই সন্তান ইরা খান ও জুনেইদ খান।

ভালোবেসেই বাবার ফিটনেস ট্রেনার নূপুরকে বিয়ে করেছেন আইরা। মায়ের মতোই ভিন ধর্মে বিয়ে তার। রয়েছে বয়সের ফারাকও।

এসকেডি