সম্প্রতি নিজের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর জানিয়েছেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় উপস্থাপক রাফসান সাবাব। চিকিৎসক সানিয়া এশাকে বিয়ের তিন বছরের মাথায় সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন তিনি। 

এই উপস্থাপকের সংসার ভাঙার পর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে সংগীতশিল্পী জেফার রহমানের নাম। সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, জেফারের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন রাফসান। যার কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন তিনি। 

এই গুঞ্জন আরও বাড়িয়ে দেয় রাফসানের স্ত্রী এশার বক্তব্যে। বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, আমার অনুমতি ছাড়া এমনকি ডিভোর্স লেটারে আমার স্বাক্ষর ছাড়াই রাফসান বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে।

ফলে জেফারের সঙ্গে রাফসানের সম্পর্ক নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে তখনই সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন এই সংগীতশিল্পী। যেখানে জেফার দাবি করেছেন, রাফসানের সঙ্গে সম্পর্কটা শুধুই বন্ধুত্বের। 

তাদের দু’জনকে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার জবাবে জেফার বলেন, ‘আমি সাধারণত এসব বিষয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু রাফসানকে নিয়ে আলোচনাটা অনেক দূর গড়িয়েছে। সে আমার একজন বন্ধু। এমন বন্ধু যেমনটা ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই আছে।’

জেফার আরও বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে শো করেছি। বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি, ঘুরেছি, কিন্তু সেটা কেবলই দুজনে মিলে নয়। আমাদের আরও বন্ধুরাও সাথে ছিল।’

এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা পড়বেন, তাই বিশ্বাস করবেন না। কেউ একজন এসে অভিযোগ তুললো, কোনো প্রমাণ ছাড়াই, এর মানে এই নয় যে সেটা বিশ্বাস করতে হবে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে রাফসান লেখেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাকে বলতে হচ্ছে যে, এশার সঙ্গে আমার সম্পর্কের ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব সহজ ছিল না কিন্তু অনেক চিন্তাভাবনার পরে দুজনের আলাদা হয়ে যাওয়াটাই আমার কাছে সেরা উপায় বলে মনে হয়েছে। আমাদের একসঙ্গে তিন বছরের পথ চলা এবং আমি চাই শেষটা সম্মানজনকভাবেই হোক।’

এদিকে ঘটনার তিনদিন পর রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে মুখ খুলেছেন রাফসানের স্ত্রী। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, সংসার টিকিয়ে রাখার অনেক চেষ্টা করেছেন তিনি। কোনোভাবেই চাননি, বিচ্ছেদটা হোক। 

এশা তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি এই ডিভোর্স চাইনি। এটা আমাদের দুজনের সিদ্ধান্তে হয়নি। আমি শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করে গেছি বিয়েটা টিকিয়ে রাখার জন্য। বিয়ে এবং স্বামী ছিল আমার প্রথম অগ্রাধিকার। আমি তার প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। কিছু বড় সমস্যা ছিল, যেগুলোর জন্য আমি নিজেই হয়তো সব শেষ করে দিতে পারতাম। কিন্তু একটা মেয়ে কখনোই চায় না তার সংসার ভেঙে যাক। অনেক বিষয় আছে যেগুলো আমি এখন প্রকাশ করতে চাই না। এভাবে আমি নিজেই হয়তো সংসার আর চালিয়ে যেতে পারতাম না। কিন্তু আমার এতটুকু বিশ্বাস ছিল, অন্তত সঠিক আইনানুগ উপায়ে কিংবা যেটা সত্যি সেটা সবার সামনে মেনে নিয়ে সত্যিটা ঘোষণা দেওয়া হবে।

এরপর এশা উল্লেখ করেন, তিনি (রাফসান সাবাব) তালাকের কার্যক্রম সম্পন্ন করলেন, নোটিশে স্বাক্ষর করলেন। তারপর আমার স্বাক্ষর ছাড়াই এবং তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য তিন মাস অপেক্ষা না করে পাব্লিকলি ঘোষণা করলেন। পুরো কাজটাই করলেন আমার সম্মতি না নিয়েই। 

এনএইচ