ভারতের সঙ্গীতাঙ্গনের দিকপাল অস্কার জয়ী এআর রহমান। তার সুরে মাতাল হয় গোটা বিশ্ব। এআর রহমান খুব আধ্যাত্মিক প্রকৃতির মানুষ, তা সবাই জানেন। তিনি নিজেও অনেক বার তার গভীর আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের কথা প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না এই পরিবর্তন তার মধ্যে এসেছে অনেক পরে।

আজকে যিনি এআর রহমান নামে পরিচিত, তার জন্ম হয়েছিল অন্য পরিচয়ে। তিনি ছিলেন দিলীপ কুমার। খুব অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়ে জীবনের কঠিন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছিলেন। এর তারপরই ঘুরে যায় তার জীবনের অভিমুখ। একজন সুফি সাধকের অনুরাগী হয়ে পড়েন। ধর্মান্তরিত হন।

সম্প্রতি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শিবমণি জানিয়েছেন এই পরিবর্তনের সাক্ষী তিনি। শিবমণি দেখেছেন কীভাবে একটু একটু করে বদলে গেছেন এআর রহমান। 

সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিবমণি জানিয়েছেন, বাবা মারা যাওয়ার পর এক সুফি সাধকের আখড়ায় যেতেন রহমান, সঙ্গে তার মাও। সেখানেই অধ্যাত্ম সাধনার পাঠ নিতেন রহমান। 

তিনি বলেন, আমরা স্টুডিও-তে অপেক্ষা করতাম। এআর রহমানকে কোরানের পাঠ দিতেন তার শিক্ষক। সেই সময় থেকেই আমূল বদলে গেলেন তিনি। তার একাগ্রতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

শিবমণি বলেন, যে দিলীপকে আমি চিনতাম, সেখান থেকে একেবারে বদলে যান এআর। আধ্যাত্মিকতার পথে একেবারে নিমগ্ন হয়েছিলেন এ সঙ্গীত সাধক। একেবারে শান্ত হয়ে যান। কাজের সময় শুধু কাজ নিয়েই ভাবতেন। তার এই মনোভাব একটা শৃঙ্খলাবোধ তৈরি করেছিল। আর এতেই সাফল্য আসে।

তখন স্টুডিও-র পরিবেশ একেবারে বদলে গিয়েছিল। সেখানে গোটা পরিবেশেই আধ্যাত্মিকতা বিরাজ করতো। 

প্রায় ২৩ বছর আগে নিজের বিশ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন এআর রহমান। ২০০০ সালে তিনি বলেছিলেন দিলীপ কুমার থেকে এআর রহমান হয়ে ওঠার কথা।

এদিকে অদ্ভুত কাকতালীয় একটি বিষয় হলো এ আর রহমানের স্ত্রীর নাম সায়রা বানু। বলিউডের তারকা অভিনেতা দিলীপ কুমারের স্ত্রী-র নামও সায়রা বানু।

এমএসএ