পরিবার পাশে ছিল, তাই আত্মহত্যা করিনি : আমিন খান
চলচ্চিত্র জগতের নোংরা পলিটিক্সের শিকার হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের পর্দা কাঁপানো নায়ক আমিন খান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা জানান, সিনেমা জগতের নোংরা পলিটিক্স তার ক্যারিয়ারকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আমিন খান বলেন, বলিউডে এখন সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়ে সবাই যেমন হা হুতাশ করছে, আমার জীবনটাও তেমন হতে পারত। চলচ্চিত্র জগতে আমিও অনেক নোংরা পলিটিক্সের শিকার হয়েছি। মনোবল শক্ত ছিল, পরিবার পাশে ছিল, তাই হয়ত আত্মহত্যা করিনি। আমার মতো করে লড়ে গেছি। চলচ্চিত্রে জায়গা করে নিয়েছি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- ফেসবুকে ভুয়া আইডির বিড়ম্বনায় আমিন খান
এক সময় শুটিংয়ে ব্যস্ত নায়ক আমিন খান এখন ব্যস্ত চাকরি জীবনে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বড় দায়িত্বে আছেন। স্ত্রী স্নিগ্ধা খান, দুই ছেলে রাইয়ান খান আর মাঈন খানকে নিয়ে বর্তমানে ঢাকার উত্তরায় থাকেন। তাদেরকে ঘিরেই অভিনেতার সকল ব্যস্ততা।
তবুও আমিন খান বললেন, চলচ্চিত্রের জীবনটা খুব মিস করি। ওটাই আমাকে নতুন জন্ম দিয়েছে। নায়ক আমিন খান হয়ে বাঁচতে ইচ্ছে করে।
নব্বই দশকে নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রম দিয়ে চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু আমিন খানের। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম সিনেমা ‘অবুঝ দুটি মন’। মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত এই সিনেমা মুক্তির আগে বাদল খন্দকারের ‘দুনিয়ার বাদশা’ সিনেমাতে কাজ করেন। সিনেমাটি সুপারহিট ব্যবসা করে। এই সিনেমাই তাকে অ্যাকশন ঘরানার আগ্রহী হওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেয়।
এরপর ১৯৯৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৬৫টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন এই নায়ক। যার অধিকাংশই ছিল ব্যবসা সফল। ২০১০ সালের পর আর সেভাবে পর্দায় দেখা যায়নি আমিন খানকে।
এনএইচ