‘পাখি’ চরিত্র দিয়ে দুই বাংলার দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন কলকাতার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। এরপর ছোট পর্দায় অভিনয় শেষে বড় পর্দায়েও অভিষেক ঘটে তার। 

সর্বশেষ মুক্তি পেয়েছে এই অভিনেত্রীর ‘চিনি ২’ সিনেমা। মা-মেয়ের সম্পর্ক ও প্রেম-ভালোবাসার গল্পেই তৈরি হয়েছে এই ছবি। সিনেমাটি নিয়ে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মধুমিতা। যেখানে কথা বলেছেন নিজের ব্যক্তিগতগ জীবন ও প্রথম প্রেম নিয়ে।

আরও পড়ুন- একটি ভিডিও ক্লিপ তছনছ করে দিলো মধুমিতার জীবন!

পর্দায় বহুবার প্রেমে পড়লেও বাস্তব জীবনে মধুমিতা প্রেমে পড়েছিলেন যখন তার বয়স মাত্র ১৬ বছর। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘১৬ বছর বয়সে প্রথম প্রেম করেছিলাম। একটা কাজের সূত্রেই আলাপ হয়েছিল তার সাথে। এরপর সিনেমা দেখতে যাওয়ার প্ল্যানিং করি দুজনে। কিন্তু, মা তো কিছুতেই যেতে দেবে না। পাড়ার মুদির দোকানেই যেতে দেয় না...সেখানে আবার সিনেমা! তবে সেইদিন দোকানে জিনিস কিনতে যাচ্ছি বলেই সিনেমা দেখতে চলে গিয়েছিলাম তার সঙ্গে। তিন ঘণ্টা পর যখন বাড়িতে ফিরলাম তখন তো শুধুই বকাবকি।’

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মধুমিতা জানান কীভাবে তার মা তাকে সাবলম্বী হতে সাহায্য করেছিলেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার জীবনের প্রথম উপার্জন দুই হাজার টাকা। চেকটা পেয়ে পুরোটাই মায়ের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। মা সেই টাকাটা নিজের কাজে খরচ করেনি। উল্টো আমার স্কুলের বেতন দিয়ে বলেছিল, তোকে সাবলম্বী করে দিলাম। তোর টাকাতেই তোর স্কুলের ফি পরিশোধ করলাম।’

আরও পড়ুন- পুরুষদের আমি ঘৃণা করি : মধুমিতা

জীবনে নেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অকপট মধুমিতা। তিনি বলেন, ‘একটা সময় মনে হতো মা সব কিছুতেই বড্ড বেশি নাক গলাচ্ছে। আমার জীবনের সিদ্ধান্ত যেটা আমি নিচ্ছি সেটাই ঠিক। কিন্তু, পরে মনে হয়েছে মা-বাবাই সন্তানকে সঠিক পথটা দেখায়। তারা কখনোই ভুল পথে চালিত হতে দেয় না।’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘জীবনে যদি ১৫ বছর পিছিয়ে যেতাম তাহলে কোনও অধ্যায়ই আমি ডিলিট করতাম না। কারণ সেগুলো একজোট করেই আজকের মধুমিতা তৈরি হয়েছে। অতীতই সবচেয়ে বড় শিক্ষক। আমিও সেখান থেকে জীবনের অনেক শিক্ষা নিয়েছি।’

এনএইচ