সদ্যই বিয়ে করেছেন ছোটপর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা চাষী আলম। যিনি ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র হাবু ভাই নামে বেশ পরিচিত। বিয়ের পর থেকেই এই অভিনেতাকে নিয়ে বিভিন্ন মুখরোচক খবর ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, ৫৬ বছর বয়সে এসে বিয়ে করেছেন তিনি। তবে চাষী আলমের ভাষ্য, তার বয়স ৫৬ বছর নয়। এমনকি ৫৬ বছরের ধারেকাছেও নয়। 

‘হাবু ভাই’ খ্যত এই অভিনেতা বলেন, ‘আমাদের যখন কাবিন হয়, তখন আমার এনআইডি-পার্সপোর্ট এসব কিছুই তার পরিবার দেখেছে। তারাই তো জানে আমার বয়স কতো। এখন নিউজ হচ্ছে, দাবি করা হচ্ছে- ৫৬ বছরে বিয়ে করেছেন হাবু ভাই। মানুষ এসবে মজা নিচ্ছে। মজা নিক। তবে এ সকল খবরের কোনো ভিত্তি নাই।’

নিজের বয়স তাহলে কত, এমন প্রশ্নে চাষী আলম বলেন, ‘‘আমার বয়স ৫৬’র ধারেকাছেও নাই। অনেক নিচে।’’

এসময় এক ঘটনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘এক নিউজ আসছে, যেখানে বলা হচ্ছে আমি নাকি কলেজ লাইফে শিউলি নামের এক মেয়েকে পছন্দ করতাম। এরপর সেই প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে আর বিয়ে করিনি। ঠিক সেই ঘটনার ৩৩ বছর পর বিয়ে করলাম। অথচ আমার কলেজ জীবনে শিউলি নামের কোনো বন্ধুই ছিল না।’

আরও পড়ুন- আমার বউটা লক্ষ্মী, খুবই আধুনিক : চাষী আলম

প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে হাবু ভাই বলেন, ‘যদি ধরে নেই, কলেজ জীবনে আমার বয়স ছিল ১৮ বছর। তাহলে ৩৩ বছর পর বিয়ে করলে এখন আমার বয়স কত হওয়ার কথা? এমন অনেক মুখরোচক সংবাদই বিয়ের পর চোখে পড়ছে।’

চাষী আলম বলেন, ‘অনেক খবরে আবার বলা হয়েছে, এটা নাকি আমার তৃতীয় বিয়ে। সেসব দেখে আমার মা-বোন এসে জিজ্ঞেস করছে- কিরে, তোর বাকি বউগুলো কোথায়? এমনকি আমার স্ত্রীকে নিয়েও মিথ্যা সংবাদ প্রচার হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, তুলতুলের আগে একটি বিয়ে হয়েছে। সেখানে নাকি তার একটি সন্তানও রয়েছে।’

আরও পড়ুন- হাবু ভাইয়ের পর এখনো যারা ব্যাচেলর

তবে যারা এ সকল মিথ্যা সংবাদ ছড়াচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য কিছু বলতে নারাজ ‘হাবু ভাই’। তার ভাষ্য, এসব সংবাদ আসবেই। এগুলো নিয়ে আমার কিছু বলার নাই। তারা আমার বয়স নিয়েও মেতে আছে, মাতুক।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করেন চাষী আলম। তার স্ত্রীর নাম তুলতুল। ডাক নাম মোহনা। রাজধানীর বাড্ডায় পরিবারের সঙ্গে থাকেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট সে। গত বছর বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেছেন।

এনএইচ