জেবা জান্নাতের অসদাচরণ ও অসহযোগিতা, শামীম হাসান সরকার কর্তৃক প্রোডকশন বয়কে হেনস্তা, রুকাইয়া জাহান চমকের শুটিং সেটে দুর্ব্যবহার—সম্প্রতি বেশ কিছু পাল্টাপাল্টি অভিযোগে মুখোমুখি অবস্থানে দেশের নাট্য সংগঠনগুলো। উদ্ভূত এই সংকট সমাধানে আজ আলোচনার টেবিলে বসছে নাটকের তিন অভিভাবক সংগঠন।

জানা গেছে, টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব), ডিরেক্টরস গিল্ড ও অভিনয়শিল্পী সংঘ—এই তিন সংগঠন আজ (রোববার) বিকেলে একসঙ্গে বসছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন টেলিপ্যাবের সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আমরা বিব্রত। আসলে এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এমন চলতেই থাকবে। আমরা সবার অভিযোগ শুনে দায়ীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’

গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরার একটি শুটিং হাউসে তরুণ অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমকের বিরুদ্ধে শুটিং সেটে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় পরবর্তীতে সহশিল্পী আরশ খানের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা চাওয়ার অভিযোগ তোলেন চমক। ইতোমধ্যে আরশ খান ও পরিচালক আদিব হাসানের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন এই অভিনেত্রী।

চমকের অভিযোগ, ‘একসময় আরশ আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল। তার সঙ্গে বেশ কিছু কাজও করেছি। কিন্তু এই বন্ধুত্বের আড়ালে আরশ আমার কাছে বেশি কিছু দাবি করে বসে। এর মধ্যে আমি ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু নায়িকার কাছ থেকে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা জানতে পারি। জানার পর বন্ধুত্বের বেশি যে সম্পর্ক ও গড়তে চেয়েছিল তাতে আমি রাজি হইনি। এরপর আমি তাকে জানাই যদি সে এভাবে আমাকে হ্যারাস করতে থাকে তাহলে আমি তার সঙ্গে আর কাজ করব না। প্রত্যুত্তরে আরশ আমাকে জানায়, সে আমার সঙ্গে প্রফেশনালি কাজ করবে, এ ধরনের কথা আর বলবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরশের সঙ্গে এরপর বেশ কিছু কাজের অফার আসে আমার কাছে। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। এতে আমার প্রতি তার ক্ষোভ তৈরি হয়। তার সঙ্গে সম্পর্কে না জড়ানোর ক্ষোভে আমাকে শুটিং সেটে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে টাচ করা হতো। ফোন করে বিরক্ত করা হতো। এ ঘটনার সঙ্গে নাটকের পরিচালক আদিব হাসানও জড়িত। আরশ ও আদিব পরস্পর খুব ভালো বন্ধু।’

যদিও চমকের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরশ খান। তার দাবি, সিনিয়র অভিনেতা মাসুম বাশারকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগে সায় না দেওয়াতে তার বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা কথা বলছে চমক।

কেএইচটি