কথায় আছে, ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। যারা ভাত খান তারা কখনো না কখনো পান্তাভাত খেয়েছেন। জীবনে প্রথমবারের মতো পান্তাভাতের স্বাদ নিলেন জি বাংলার রান্নাঘরের জনপ্রিয় মুখ সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। আর তাতেই নেটপাড়ার একাংশের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন জনপ্রিয় এই সঞ্চালিকা। তার কাঁটা চামচ দিয়ে পান্তাভাত খাওয়ার বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই।

ফেসবুক লাইভে সুদীপা প্রথমবার পান্তাভাত খাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। একটি বাটিতে পান্তাভাত। কাঁচা পিঁয়াজ, আলুমাখা নিয়ে খাচ্ছিলেন তারকা। কাঁটা চামচ দিয়ে প্রথম বাইট নিতেই মুগ্ধ হয়ে যান। সেই মুগ্ধতার কথা জানান ফেসবুকে। পরে আবার ‘কেটলি পিঠা’ খাওয়ার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন।

অবশ্য সুদীপার এভাবে কাঁটা চামচ দিয়ে পান্তাভাত খাওয়া নেটিজেনদের একাংশ হজম করতে পারেনি। ‘বাঙালি হয়ে কখনো পান্তাভাত খায়নি? যতসব নাটক!’, ‘কাঁটা চামচে পান্তাভাত। কাঁহাসে আতে হ্যায় ইয়ে সব লোগ (কোত্থেকে আসে এসব লোক)। এই উহুটা করবেন না তো অসহ্য লাগে শুনতে’, এমন মন্তব্য করা হয়েছে। একজন আবার লিখেছেন, ‘পান্তাভাত ফর্ক দিয়ে খেতে হয় আজ আমি জানলাম। গুড জব।’

এরমধ্যেই আবার একজন লেখেন, ‘জীবনে এতটাই বড়লোক হতে চাই যে, কাঁটা চামচ দিয়ে পান্তাভাত খেতে খেতে বলব – উমমম।’, ‘পান্তাভাত কাঁটা চামচ দিয়ে খেয়ে আপনি ইতিহাস গড়লেন। সোনার অক্ষরে এই দিনের নাম লেখা থাকবে’, এমন কথাও লেখা হয়।

এমনিতেও সুদীপা চট্টোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু একটা পোস্ট করলেই তা নিয়ে ট্রোলিং শুরু করে দেন নেটিজেনরা। কখনো খাবারের ডেলিভারি বয়কে নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন, আবার কখনো শাড়ি, গয়না নিয়েও বিতর্কে নাম জড়িয়েছে তার, কখনো পূজার সাজ নিয়ে হইচই হয়েছে। সমালোচনা নিয়ে কখনোই মাথা ঘামাননি সুদীপা, বরং নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন।

কেএইচটি