পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তাপস বাপি দাস। ফুসফুসের ক্যানসার তৃতীয় পর্যায় পৌঁছে গিয়েছিল। হাসপাতালে প্রতিনিয়ত দুরারোগ্য ব্যাধির সঙ্গে লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি। 

বাংলা রক ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতার চিকিৎসার টাকা জোগানের জন্য পথে নেমেছিলেন দুই বাংলার শিল্পীরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বাপি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে।

সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ হাসপাতালে মারা যান বাপি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। দিন বিশেক আগে পর্যন্তও তার সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু শেষমেশ আর ফিরলেন না তিনি। দুরারোগ্য ব্যাধির কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হলো শিল্পীকে। শারীরিক অবস্থার বারবার অবনতির কারণে মাঝেমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছিল। কিন্তু এবার আর তার ফেরা হলো না।

এই শিল্পীর চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এসেছিল ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র বাংলাদেশি ভক্তরা। দেশের শিল্পীদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে ‘ভালোবাসি জ্যোৎস্নায়’ শীর্ষক কনসার্ট। যা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল আগামী ১৪ জুলাই ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে।

আর এই কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করার কথা ছিল তাপস বাপি দাসের চিকিৎসায়। এই আয়োজনে অংশ নেওয়া প্রত্যেক শিল্পী মহীনের গানের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে গাইবেন জানা গিয়েছিল।

‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র অন্যতম মুখ ছিলেন তাপস দাস। গানপ্রেমীদের কাছে তিনি ‘বাপিদা’ নামেই পরিচিত ছিলেন। দুই বাংলায় জনপ্রিয় হওয়া বেশ কিছু গানের কথা লিখেছেন তিনি। গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের পাশে থেকে ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ গানের দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তাদের ‘পৃথিবী’, ‘টেলিফোন’, ‘তোমায় দিলাম’ গানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

বছরের শুরুতেই জানা যায়, ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি চলছে তাপসের। ঠিকভাবে খেতেও পারছিলেন না তিনি। ওজনও কমে গিয়েছিল। তার বয়স প্রায় ৭০-এর কাছাকাছি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এস এস কে এম থেকে বাপির দেহ নিয়ে আসা হবে তার বাসভবনে। শিল্পীর প্রয়াণে দুই বাংলার সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা

কেএইচটি