‘মেঘলা’ হয়ে আসছেন মিথিলা
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। গতকাল (২৫ মে) ছিল এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। বিশেষ এই দিনেই প্রকাশ্যে এলো তার টলিউড ছবি ‘মেঘলা’র পোস্টার। এতে নাম ভূমিকায় অর্থাৎ মেঘলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিথিলা।
ছবির গল্পে দেখা যাবে, হাসি খুশি প্রাণবন্ত একটি মেয়ে মেঘলা। যার বড় হয়ে ওঠা এক অনাথ আশ্রমে। নিজের চেষ্টায় অদম্য পরিশ্রমের ফলস্বরূপ আজ সে প্রতিষ্ঠিত। স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার তার। স্বামী আবির ফরেনসিক মেডিসিনের ডাক্তার। কিন্তু বিয়ের পরেও মেঘলা ভোলে না সেই আশ্রমকে, যেখান থেকে তার বড় হয়ে ওঠা। শত কাজের ফাঁকেও যথাসাধ্য চেষ্টা করতে থাকে আশ্রমের বাকি বাচ্চাগুলোর পাশে দাঁড়ানোর, নিজের মতো করে চেষ্টা করে তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর।
বিজ্ঞাপন
অফিসের কাজের সুবাদে, দিন কয়েকের জন্য বাইরে গিয়ে ফিরে আসার পর খবর পায় আশ্রমের একটি ফুটফুটে বাচ্চা মেয়েকে কেউ বা কারা ধর্ষণ করে খুন করেছে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা মেঘলা, এ কোন পৃথিবীতে নিজের সন্তানকে নিয়ে আসতে চলেছে! সেই ভাবনাই তাকে কুরে কুরে খেতে থাকে।
তীব্র মানসিক অবসাদ কাটাতে আবির মেঘলাকে নিয়ে এক নির্জন পাহাড়ি গ্রামে বেড়াতে আসে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে মেঘলা। কলকাতা ফিরে আসার আগে দিন, হঠাৎই আবির উধাও হয়ে যায়। আবারও মেঘলার জীবনে বিপদের মেঘ ঘনিয়ে আসে, শুরু হয় আবিরকে খুঁজে বের করার পালা।
সিনেমাটি নিয়ে মিথিলা বলেন, “আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করার সুবাদে আমি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জনগোষ্ঠীর নারীদের সঙ্গে খুব কাছ থেকে কাজ করেছি। তাই সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীদের প্রতিবন্ধকতা এবং একই সঙ্গে তাদের অদম্য শক্তির সাথে আমি ভীষণ পরিচিত। যা নারীরা নিজেরাই সব সময় মুখ ফুটে বলতে পারেন না বা বুঝতেও পারেন না। কিন্তু কোনোভাবে যখন তারা বুঝতে পারে, তখন সেই শক্তির কাছে সব নেতিবাচক অপশক্তিকে হার মানতে হয়। ‘মেঘলা’ তেমনি এক লড়াকু মেয়ের গল্প।”
এই ছবিতে মিথিলা ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়, অর্ণ মুখোপাধ্যায়, বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন ঘোষ, অমিত সাহা, দীপক হালদার প্রমুখ। ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনায় রয়েছেন অর্ণব কে মিদ্যা।