টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী মানসিক অবসাদের মধ্যে দিয়ে গেছেন। পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর হঠাৎই সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। রাজ বিয়ে করেন শুভশ্রীকে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কষ্ট নিতে পারেননি মিমি। তিনি অবসাদে চলে যান।

সেই সময় মিমি নিজেকে অভিনয় জগৎ থেকেও গুটিয়ে নিয়েছিলেন। রীতিমতো ডুবতে বসেছিল তার ফিল্মি ক্যারিয়ার। সেই সময় নিজের অবসাদ কাটাতে মনোবিদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিমি।

তার কথায়, মানসিক অবসাদ কোনো ট্যাবু নয়। এটাকে সাধারণ অসুস্থতার মতোই দেখা উচিত। 

এক পুরনো সাক্ষাৎকারে মিমি তার অবসাদের সময়কার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। অভিনেত্রী বলেন, প্রথমবার আমি যখন মনোবিদের কাছে গিয়েছিলাম তখন খুব চুপচাপ ছিলাম। এটা নিয়ে কখনো আমি আমার মা-বাবার কাছেও কোনো কথা বলিনি। আমি যখন মাকে এটা বলি তখন মাও বুঝতে পারিনি যে আমি ঠিক কী অনুভব করছি। আমাকে মনোবিদ জানিয়েছিলেন যে আমি যাতে আমার ভাবনাগুলো অন্যদিকে নিয়ে যাই ও যা আমাকে ভালো রাখবে সেই কাজই যাতে করি।

মিমি জানান, আমাদের সমাজ এখনো মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হয়নি। অবসাদের সঙ্গে লড়াই করার সময় চোখের পানি সহজে আসত না। তিনি নিজেকে আরও দমবন্ধ পরিস্থিতিতে অনুভব করছেন। 

তিনি বলেন, অবসাদে থাকার সময় আমি ঠিকমতো খাবার খেতাম না, ঠিকমতো ঘুমোতে পারতাম না। চিরকাল নিজেকে এমন চিন্তায় ডুবিয়ে রেখেছিলাম যা কখনই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। এরকমও মনে হতো যে যদি বিছানা ছেড়ে আমি উঠি হয়ত সমস্যা আরও বাড়তে পারে। পুরো দিন আমি একাই কাটাতাম। আমার সব সময় এটা মনে হতো, ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক ও ডুবতে থাকা ক্যারিয়ারের জন্য মনোবিদের কাছে গেছি এটা শুনলে মানুষ কীভাবে আমাকে গ্রহণ করবে।

তবে মিমি এও জানান, তিনি নিজের ইচ্ছার জোরে ও মনোবিদদের সহায়তায় এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগলে তার যত্নের প্রক্রিয়া হয় আলাদা বলেই মনে করেন মিমি।

ওএফ