সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলিং আমার গায়ে লাগে : ঋতাভরী
আকর্ষণীয় হতে গেলে কেবল দৈহিক ভাবে সুন্দর হলেই হয় না, মনও ভালো রাখতে হয়। এমনটাই মনে করেন ওপার বাংলার নায়িকা ঋতাভরী। মে মাসেই মুক্তি পাচ্ছে তার নতুন ছবি। যে ছবি তার জীবনকে অনেকটাই বদলে দিয়েছে।
ছবির চরিত্রের কারণে ওজন বাড়িয়েছিলেন কয়েকগুণ। সেই চেহারার জন্য সমালোচনার মধ্যেও পড়তে হয় তাকে। ছবিতে তিনি কেবল কাজ করেননি একই সঙ্গে সেটাকে উপলব্ধিও করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেছেন, সৌন্দর্যের সঙ্গে মনের যোগ, শরীরী গড়নে নয়।
বিজ্ঞাপন
ওই ছবিতে উঠে আসবে এক প্লাস সাইজ মডেল ফুল্লরার কথা। তার চেহারা হয়তো আকর্ষণীয় নয়, কিন্তু তার কাজ বা মেধা নজর কাড়বেই আপনার। এক সাধারণ মহিলা থেকে প্লাস সাইজ মডেল হয়ে ওঠার যে সফর সেটাই এখানে ফুটে উঠবে। অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবিতে ঋতাভরী ছাড়াও দেখা যাবে আবির চট্টোপাধ্যায়, স্বস্তিকা দত্তকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী বলেন, ছবির কাজ শেষ করার পরই একটি সিরিজের অফার পেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে প্রযোজকের পক্ষ থেকে তাকে শর্ত দেওয়া হয় দুই সপ্তাহের মধ্যে ওজন কমাতে হবে।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি ওজন কমাতে তৈরি ছিলাম কিন্তু এভাবে নয়। আমি ধীরে সুস্থে, স্বাভাবিক পদ্ধতিতে ওজন কমাতে চেয়েছিলাম। ৬ মাসের সময় চেয়েছিলাম। নিজেকে আবার কোনও ঝড়ের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেতে চাইনি আমি।’
ছবিটির লুকের জন্য অনেকবার ট্রোল্ড হয়েছেন ঋতাভরী। যেহেতু তিনি অনেকটাই ওজন বাড়িয়েছিলেন সেটার জন্য তাকে ট্রোল্ড হতে হয়।
সেটাকে কীভাবে সামাল দিয়েছিলেন তিনি? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলিং আমার খুব গায়ে লাগে। সবসময় সেগুলো উড়িয়ে দেওয়া, অবহেলা করা সম্ভব হয় না। সমালোচনা এক জিনিস, যা আমার জন্য ভালো, উন্নতিতে সাহায্য করবে সেগুলো অবশ্যই দেখব, শুনব, শিক্ষা নেব। কিন্তু এটা সঠিক সমালোচনা নয়, এখানে মানসিকতা প্রকাশ পায়। কোন ছবিতে অভিনেতা অভিনেত্রীর লুক কেমন হবে সেটা পরিচালক প্রযোজক ঠিক করেন। সেটা যদি কারও মানতে অসুবিধা হয় তাহলে বুঝতে হবে তার শিল্পে সমস্যা নেই, সমস্যা হল তাকে সেভাবে মেনে নিতে।’
হিন্দুস্থান টাইমস