মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১৯৯২ সালে বেখুদি দিয়ে বলিউডে পথচলা শুরু করেন কাজল। যদিও প্রথম সাফল্য আসে ১৯৯৩ সালে বাজিগর সিনেমা দিয়ে। ৯০-এর দশকে একের পর এক হিট ছবি দিয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে ক্যারিয়ারের শুরুর দিক থেকে সাফল্য এলেও নিজের শ্যামলা গায়ের রঙের কারণে কম সংগ্রামের মুখে পড়তে হয়নি তাকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে কথা বলেন অজয় দেবগনপত্নী। 

এক চ্যাট শো-তে কাজলকে বলতে শোনা যায়, সে সময় অনেকেই তাকে ‘মোটা’, ‘কালো’ বলে ডাকত।  যদিও এসব নিয়ে খুব একটা ভাবিত হতেন না তিনি। কারণ মনে মনে জানতেন তিনি কুল, স্মার্ট, সবমিলিয়ে তাকে নিয়ে যারা নেতিবাচক মন্তব্য করছে তাদের থেকে অনেক ভালো। 

তবে কাজল মেনে নেন নিজের গায়ের রংকে ভালোবাসতে অনেকটা সময় লেগেছিল তার। তিনি যে প্রকৃতই সুন্দরী এটা বিশ্বাস করতেও সময় লেগেছিল। কাজলের কথায় ৩২-৩৩ বছর বয়সে গিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে নিজে বলা শুরু করেন তাকে যথেষ্ট সুন্দর দেখতে। 

অভিনেত্রী জানান, এরপর থেকে নিজেকে বিশ্বাস করতে শুরু করেন। কাজলের কথায়, ‘ওই যে সবাই বলে তুমি ততক্ষণ দেখনদারি করবে যতক্ষণ না তুমি বিশ্বাস করবে। এবং অবশেষে তুমি এটা করতে পারবে।’

তবে বলিউডের অন্দরে কানাঘুষা রয়েছে ত্বক ফর্সা করার সার্জারির সাহায্য নিয়েছেন কাজল। যদিও সে দাবি আগেই নাকচ করে দিয়েছেন কাজল। ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দিয়ে তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন সূর্যের তাপের বাইরে আছেন। একসময় টানা সূর্যের নিচে কাজ করেছিলেন, যা তাকে কালো করে দিয়েছিল। তবে বর্তমানে তিনি সূর্যের থেকে দূরে থাকায় গায়ের রং একটু বিবর্ণ লাগে। 

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

জেডএস