লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অভিনীত সেরা ১০ সিনেমা
১৯৯১ সালে ‘ক্রিটার্স থ্রি’ দিয়ে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর ক্যারিয়ার শুরু। তখন অল্প কয়েকজন হলিউডে তার খ্যাতির তুঙ্গে ওঠার বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তিন দশক পর বর্তমানে হলিউডের বিখ্যাত তারকা তিনি। অসংখ্য পুরস্কারসহ তার হাতে উঠেছে অস্কার পুরস্কার। এই লেখাটি সাজানো হয়েছে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর সেরা ১০ সিনেমা নিয়ে।
হোয়াটস ইটিং গিলবার্ট গ্র্যাপ
‘ক্রিটার্স-থ্রি’তে অভিনয়ের পর ১৯৯৩ সালে রবার্ট ডে নিরোর সঙ্গে ‘দ্য বয়েস লাইফ’ সিনেমায় অভিনয় করেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। এতে তেমন জনপ্রিয়তা অর্জন না করলেও আর্নল গ্র্যাপের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ডিক্যাপ্রিওকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। একই বছর এডওয়ার্ড স্কিসরহ্যান্ডসের চরিত্রে ‘হোয়াটস ইটিং গিলবার্ট গ্র্যাপ’ সিনেমা অভিনয় করেন এবং এর মাধ্যমে তিনি রাতারাতি তারকা বনে যান। আইএমডিবি রেটিং ৭.৮।
বিজ্ঞাপন
ইনসেপশন
২০১০ সালের ৮ জুলাই যুক্তরাজ্যে মুক্তি পায় ‘ইনসেপশন’। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওসহ এতে আরও অভিনয় করেন জোসেফ গর্ডন, টম হার্ডি, সিলিয়ান মার্ফি, ম্যারিওন কটিলার্ডসগ। ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত সিনেমাটি ডিক্যাপ্রিওকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। আইএমডিবি রেটিং ৮.৮।
ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান
‘ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান’-এ খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। এটি তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়। ২০০২ সালের ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় সিনেমাটি। স্টিভেন স্পিয়েলবার্গ পরিচালিত এতে ডিক্যাপ্রিও ছাড়া আরও অভিনয় করেন ফ্র্যাংক অ্যাবাগনাল, টম হ্যাংকস, অ্যামি অ্যাডামসসহ অনেকে অভিনয় করেন। আইএমডিবি রেটিং ৮.১।
দ্য উলফ অব ওয়ালস্ট্রিট
কাহিনির কারণে ‘দ্য উলফ অব ওয়ালস্ট্রিট’ মুক্তি পর বিতর্কের মুখে পড়ে। মার্টিন স্কর্সিস পরিচালিত সিনেমার অর্থায়নের বিষয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুক্তি পায় এটি। ডিক্যাপ্রিও ছাড়া জর্ডান বেলফোর্ট, জোনাহ হিল, ম্যাংগট রবিসহ অনেকে অভিনয় করেন। আইএমডিবি রেটিং ৮.২।
টাইটানিক
বিখ্যাত সিনেমা ‘টাইটানিক’এর কারণে হলিউড জগতে বিখ্যাত নাম হয়েছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। জেমস ক্যামেরন পরিচালিত সিনেমাটি ১৯৯৭ সালের ১৮ নভেম্বর মুক্তি পায়। তিনি ছাড়া আরও অভিনয়ে করেছেন কেট উইনস্লেট, বিলি জেন, ফ্রান্সিস ফিশার, ক্যাথি ব্যাটসসহ আরও অনেকে। আইএমডিবি রেটিং ৭.৮।
দ্য রেভেনেন্ট
২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য রেভেনেন্ট’। এটি পরিচালনা করেন আলেজান্দ্রো গঞ্জালেজ ইনারিতু। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার পুরস্কার পান লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। তিনি ছাড়া এতে আরও অভিনয় করেছেন টম হার্ডি, উইল পল্টার, ডমহল গ্লিসন, ফরেস্ট গুডলাকসহ অনেকে। আইএমডিবি রেটিং ৮।
দ্য অ্যাভিয়েটর
মার্টিন স্কর্সিস পরিচালিত ‘দ্য অ্যাভিয়েটর’ ২০০৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর মুক্তি পায়। এই সিনেমায় ডিক্যাপ্রিওর অভিনয় ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। তিনি ছাড়াও এতে অভিনয় করেনে কেট ব্ল্যাঞ্চেট, কেট বেকিনস্যাল, গুয়েন স্টেফানিসহ অনেকে। আইএমডিবি রেটিং ৭.৫।
ডিজ্যাাংগো আনচেইনড
কুয়েন্টিন টারান্টিনো পরিচালিত ‘ডিজ্যাংগো’ মুক্তি পায় ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর। ইউরোপের বর্ণবৈষম্যের ঘটনা উঠে এসেছে এই সিনেমায়। এতে খল নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। এছাড়াও রয়েছেন জ্যামি ফক্স, ক্রিস্টোফ ওয়াল্টজ, স্যামুয়েল এল জ্যাকসনসহ অনেকে। আইএমডিবি রেটিং ৮.৪।
ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড
‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’ নির্মাণ করেছেন কুয়েন্টিন টারান্টিনো। এটি মুক্তি পায় ২০১৯ সালের ২৪ জুন। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ছাড়াও এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন ব্র্যাড পিট। এই সিনেমার জন্য সেরা সহ-অভিনেতা হিসেবে প্রথমবার অস্কার পুরস্কার পান ব্র্যাড। আইএমডিবি রেটিং ৭.৬।
দ্য ডিপার্টেড
মার্টিন স্কর্সিস পরিচালিত ‘দ্য ডিপার্টেড’ মুক্তি পায় ২০০৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এই সিনেমা দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান। এতে তিনি ছাড়াও অভিনয়ে ছিলেন ম্যাট ড্যামন, জ্যাক নিকোলসন, মার্ক ওয়াহলবার্গসহ অনেকে। আইএমডিবি রেটিং ৮.৫।
এইচএকে/এমআরএম