সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা প্রসঙ্গ এলে সৌমিত্র রায়ের পরই আসে সব্যসাচী চক্রবর্তীর নাম। সৌমিত্রর পর ফেলুদা চরিত্রে বাঙালির মন জয় করেছেন সব্যসাচী। পরবর্তীতে টলিউডের বহু অভিনেতা এই চরিত্রে অভিনয় করলেও সব্যসাচীর মতো ফেলুদা কেউই যেন ফুটিয়ে তুলতে পারেননি।

শুধু ফেলুদা নয়, পাঁচ দশকের অভিনয় জীবনে সব্যসাচী চক্রবর্তী অন্য বিভিন্ন চরিত্রেও নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। তার স্ত্রী মিঠু চক্রবর্তীও দক্ষ অভিনেত্রী। তাদের দুই ছেলে গৌরব চক্রবর্তী এবং অর্জুন চক্রবর্তীও অভিনয়ের জগতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অবাক করা তথ্য হলো মিঠু চক্রবর্তী সব্যসাচীর স্ত্রী হলেও তাদের সম্পর্ক মূলত মামা-ভাগ্নির।

টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের গুজব রটে। যার মধ্যে কিছু কিছু গুজব সত্যি হয়, আবার কিছু কিছু রটনা শুধুই রটনাই থাকে, তার কোনো ভিত্তি পাওয়া যায় না। ইন্ডাস্ট্রিতে একাধিক অভিনেতাকে নিয়ে নানা ধরনের গুজব রটলেও কখনো সব্যসাচী চক্রবর্তীকে নিয়ে গুজব বা অবান্তর কোনো কিছু রটতে দেখা যায়নি। এমনকি সব্যসাচী-মিঠুর দাম্পত্য জীবনও ঠিক পথেই এগিয়ে চলছে।

মিঠু একাধিকবার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সব্যসাচীর মতো মানুষ পাওয়া যায় না। সব্যসাচী ও মিঠু দুজনে দুজনকে খুব ছোট থেকেই চেনেন।

শোনা যায়, মিঠুর ভাইয়ের দূর সম্পর্কের ভাই ছিলেন সব্যসাচী। সেই সূত্রে দুই পরিবারের মধ্যে আলাপ অনেক আগে থেকেই ছিল। মিঠু ও সব্যসাচীর পরিবার একে-অপরকে বহু আগে থেকেই চিনতেন বলে জানা গেছে। তাই তাদের বিয়েটা হতে দেরি হয়নি। আসলে পরিবারের ইচ্ছাতেই তাদের চার হাত এক হয়। যদিও মিঠুর পরিবার ছিল খুবই রক্ষণশীল।
 
ছোট থেকেই সব্যসাচী মিঠুর মুখ থেকে মামা ডাকটাই শুনে এসেছেন। আর এখন তাদের দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবন। অনেকগুলো বছর হাতে হাত রেখে পার করেছেন তারা। তাদের সন্তান অর্জুন ও গৌরব দুজনেই এখন বিবাহিত। মিঠু-সব্যসাচীর বড় ছেলে গৌরবের স্ত্রী ঋদ্ধিমাও অভিনেত্রী। দুই অভিনেতাই টলিউডে তাদের পা জমিয়ে ফেলেছেন।

/এসএসএইচ/