কানাডা কুমার, প্রকারান্তরে এটাই নাম হয়ে গিয়েছে বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের। কানাডিয়ান নাগরিকত্বের জন্য ভারতীয় এ অভিনেতাকে নিয়ে নানা মশকরা-বিদ্রুপ শোনা যায়। মূলত ভারতীয় হয়েও অক্ষয়ের রয়েছে কানাডার পাসপোর্ট। তবে থাকেনও ভারতে, আয়করও জমা দেন। তবুও এ নাগরিকত্ব ইস্যুতে অনেক কটাক্ষ শুনতে হয়েছে বলিউডের এ অভিনেতাকে। তবে এবার সেই নাম ঘোঁচাতে চলেছেন অক্ষয়।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটায় জানিয়েছেন অক্ষয় কুমার নিজেই। খবর সংবাদ প্রতিদিন।

অভিনয় জীবনের প্রথম দিকে একের পর এক ১৪-১৫টি ছবি সফল না হওয়ায় কার্যত ভেঙে পড়েছিলেন বলিউড এ অভিনেতা। তাই বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধবদের বুদ্ধিতে কানাডায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তৈরি করে ফেলেন সেদেশের পাসপোর্টও।

এ বিষয়ে অক্ষয় বলেন, ১৯৯০ সালে আমার একটাও ছবি চলছিল না। ভারতে থেকে কিছু করতে পারছিলাম না। তখন কিছু বন্ধুর কথায় ভাগ্যান্বেষণের উদ্দেশ্যেই কানাডায় চলে যাব ঠিক করি। তবে ভারত আমাকে সব কিছু দিয়েছে। আজকে আমি যেখানে দাঁড়িয়ে তা এদেশের জন্যই। তাই আমি যা কিছু অর্জন করেছি, সব এখান থেকেই। যদি আবার ফিরতে পারি, সেই সুযোগ খুঁজছি।

এবার দেখার অপেক্ষা ভারতীয় পাসপোর্ট পাওয়ার পর অক্ষয়ের ‘কানাডা কুমার’ তকমা ঘোচে কিনা।

গত বছর এই বিষয়ে অভিনেতা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছিলেন, আমি ২০১৯ সালে আবেদন করেছিলাম। আর সেটার ২-২.৫ বছরের মধ্যেই সব বন্ধ হয়ে গেল মহামারির জন্য। কানাডা থেকে এখনও সেখানকার নাগরিকত্ব ছাড়ার চিঠি পেয়েছি সদ্য। এবার জলদি আমার পাসপোর্ট এসে যাবে এই দেশের।

চলতি সপ্তাহেই মুক্তি পাচ্ছে অক্ষয় অভিনীত ছবি সেলফি। তার সঙ্গে এখানে ইমরান হাশমিকে দেখা হবে। এছাড়া দেখা মিলবে নুসরত ভারুচা, ডায়না পেন্টিওর।

এমজে