মেয়েকে নিয়ে বেশ ভালো সময় কাটছে সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের। পুঁচকে আইদাহর বয়স এখন নয়মাস। এই বয়সেই বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা, নিজের পছন্দ-অপছন্দের জানান দিচ্ছে। সম্প্রতি নিজের দেওয়া ফেসবুক পোস্টে এমনটাই জানালেন আসিফ।

বাবা-মায়ের প্রতি ভীষণ টান ছোট্ট আইদাহর। আসিফ লেখেন, ‘নয়মাস বয়সী আইদাহ এখন বাবাকে চিনে গেছে। একটু কাশি দিলেও অজানা উদ্বিগ্নতা নিয়ে চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকে। ভাড়া বাসায় থাকি, ফ্ল্যাট পাল্টাতে হয়েছে বাড়িওয়ালার নোটিশে। বাসা বদলানো ইস্যুর ধুলোবালির পয়জনে বেগমেরও কাশি হয়ে গেছে। আইদাহ কাশি শুনলেই সন্দিগ্ধ হয়ে যায়। আজকালকার বাচ্চাদের ব্রেন কেমন যেন প্রোগ্রামিং করা, খুব সেনসিটিভ।’

বাবার গলায় গান শোনা পছন্দ করেন আইদাহ। আসিফ আরও লেখেন, “লিজেন্ড সলিল চৌধুরীর সৃষ্টি শিশুতোষ গান ‘বুলবুল পাখি ময়না টিয়ে, আয় না যা না গান শুনিয়ে।’ অন্তরা চৌধুরীর গাওয়া এই গান শৈশবে শুনেছি। আমার মেয়ে এই গানে ব্যাপক আসক্ত। বেগমের শৈশবের প্রিয় গানটা এখন মেয়ের মধ্যে সংক্রমিত। মেয়েকে হ্যাপি রাখার জন্য গানটা আমিও তুলেছি।”

গান পছন্দ হলেও মিউজিক না দিতে পারায় বাবার ওপর ভীষণ বিরক্ত হয় মেয়ে। তার কথায়, ‘আমি গাইলে আইদাহ খুব খুশি হয়। গানের মধ্যে যে পাখির ডাক আর মিউজিক আছে- সেটা তো আমি দিতে পারিনা। এটা ওর অপছন্দ। লাইভ অডিওতে আইদাহ বিরক্ত হয়ে যায়, ছোট্ট হাতে থাবা মারে মুখ বরাবর। বুঝে গেছি- গোঁজামিলের দিন শেষ। কাস্টমমেইড জেনারেশনকে জাপানি মূলা দেখানোর সুযোগ নেই।’

মেয়ের এসব আচরণে বেশ সতর্ক আসিফ। এখন আর মেয়ের সামনে ভুলভাল কিছু বলেন না বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে শিল্পীর সতর্কবার্তা, “আমিও সাবধান হয়ে গেলাম। বাচ্চাদের সাথে ভুলভাল কিছু বলা যাবে না। বাংলাদেশের সমাজ রাজনীতি পরিবারে সর্বত্র মিথ্যাময়তা এখন সর্বগ্রাসী শিল্প। এসব মিথ্যায় বিরক্ত হয়ে শিশুরা থাবা দেওয়া শুরু করেছে। চলুন, নিয়মিত মিথ্যাবাদী মুরুব্বিরা সাবধান হয়ে যাই। সতর্কতার প্রথম ধাপ হিসেবে আমি এখন শুদ্ধভাবে শিখছি ‘বুলবুল পাখি ময়না টিয়ে, আয় না যা না গান শুনিয়ে…।”

কেএইচটি