অনুরাগীদের ভালোবাসা সব দুঃখ ভুলিয়ে দেয়
ঢালিউডের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের ব্যক্তিগত জীবনে উত্থান পতনের কমতি নেই। তবুও সব সময়ই তাকে সদা হাসিখুশি দেখা যায়। অভিনেত্রী বলেন, আসলে এত কম বয়সে মা-বাবাকে হারিয়েছি এটা আক্ষেপ। কিন্তু ছেলে জয় অবশ্য সেই কষ্টে প্রলেপ লাগিয়েছে। ও আমার মা, ও-ই বাবা। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে আশ্রয়টা মিস করি। আবার রাগ দেখানোর লোকের অভাব। তবে অনুরাগীদের থেকে পাওয়া ভালোবাসা এই সব দুঃখ ভুলিয়ে দেয়।
সম্প্রতি কলকাতায় ঝটিকা সফরে যান অপু বিশ্বাস। সেখানে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
কলকাতায় কাজ নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, আশা করছি কাজের সংখ্যা বাড়বে। এত দিন বাংলাদেশে ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে পারিনি। এখন সময় আছে, তাই আশা করছি কলকাতায় যাতায়াতের পাশাপাশি কাজের জায়গাটাও বাড়বে।
তিনি বলেন, আসলে বহু দিন ধরেই আমার বেশ কিছু প্রস্তাব আসছিল এখান থেকে। কিন্তু বাংলাদেশে কিছু কাজের দায়বদ্ধতা থাকায় তখন করে উঠতে পারিনি। বলতে পারেন ১২ মাসও যেন কম ছিল। তবে এখন সেই সময় পেয়েছি। আশা করছি, এখন দুই বাংলায় সময় দিতে পারব।
এক প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যে কাঁটাতার ছাড়া আর কোনো অমিল দেখি না। আমাদের সংস্কৃতি, ভাষা, সৃষ্টি সবই তো এক। ঋতুপর্ণা দিদি, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়রা তো বাংলাদেশের কাজ করেছেন। অন্য দিকে, আমাদের দেশের ফিরদৌস ভাইও খুব জনপ্রিয় ছিলেন দুই বাংলায়। তাই এই মেলবন্ধনটা বহু দিনের।
শাকিব খান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দু’জনের কাছে এখনও সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যটাই অগ্রাধিকার পায়। একসঙ্গে থেকে হোক কিংবা না থেকে। জয় জানে, তার বাবা-মা দু’জনেই ব্যস্ত। তাই কখনো আমি তাকে স্কুলে পৌঁছে দিই, শাকিব ওকে নিয়ে আসে এভাবেই চলছে।
এমএ