ভারতীয় গায়ক অঞ্জন দত্ত। গান গেয়ে দুই বাংলায় অর্জন করেছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। পাশাপাশি তাকে অভিনেতা এবং পরিচালক হিসেবেও চেনেন সবাই। দুই অঙ্গনেই শিল্প চর্চা দিয়ে মুগ্ধ করেছেন ভক্তদের। তবে গত কয়েক বছর ধরে গায়ক অঞ্জনের চেয়ে নির্মাতা ও অভিনেতার পরিচয়ে তাকে বেশি পাওয়া গেছে। মনে প্রাণে একজন অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন ছোটবেলা থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মুক্তি পেয়েছে অঞ্জন দত্তের নির্মিত ছবি রিভলভার রহস্য। নিজের লেখা বই থেকেই সৃষ্ট এই গোয়েন্দা ফ্র‌্যাঞ্চাইজি। 

অঞ্জন দত্ত বলছেন, এই গোয়েন্দা গল্প অন্যান্য গল্পের থেকে আলাদা।

ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ ১৮কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার নিজের সিনেমা নিয়ে এমন দাবি করেন অঞ্জন দত্ত।

অঞ্জন জানান, ছোট থেকেই গোয়েন্দা গল্পের ভক্ত তিনি। পড়েছেন বিভিন্ন দেশ-বিদেশের সাহিত্য। তার আমেরিকার গোয়েন্দা গল্প এক রকমের, আবার ব্রিটিশ গোয়েন্দা আরেক রকম। এই গোয়েন্দা গল্পগুলোর সঙ্গে আবার বাংলার গোয়েন্দা গল্পের কোনও মিল নেই। একাধিক সাহিত্যিক একাধিক গোয়েন্দা চরিত্রকে সৃষ্টি করেছেন। 

ভারতীয় এ অভিনেতা বলেন, 'গোয়েন্দা গল্প মানেই অ্যাডাল্ট ব্যাপার। খুন, মারামারি, সম্পর্ক, যৌনতা, দুর্নীতি, নোংরামি তো থাকবেই। কিন্তু অদ্ভুতভাবে দেখা গিয়েছে এটাই ছোটদের সাহিত্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন সমরেশ বসু, সমরেশ মজুমদার, নিহাররঞ্জন গুপ্ত, প্রেমেন্দ্র মিত্র এঁদের লেখা কোনও গোয়েন্দা চরিত্র প্রাপ্তবয়স্ক নয়। সেখানে একমাত্র শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়েন্দাকে অন্যরকম লেগেছে। আর তাই ব্যোমকেশের কিছু স্বত্ব নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম।'

কিন্তু বাংলায় একাধিক গোয়েন্দা গল্প নিয়ে ছবি তৈরি হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'যখন দেখলাম সবাই মিলে ব্যোমকেশ করছে, তখন আমার ব্যোমকেশ চলে গেল সেখান থেকে। তখনই ঠিক করলাম আর করব না। এই ধারাবাহিক ছবিগুলো আমার আর নিজের রইল না।'

সিনেমা না হোক নিজের মতো করে গোয়েন্দা গল্প লিখবেন স্থির করেন তিনি। নিজে লিখে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি তৈরি করার কথা ভাবেন। আর সেভাবেই তিনি তৈরি ফেললেন সুব্রত শর্মার চরিত্র।

বড় পর্দা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু অঞ্জন দত্তের। তখনও গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেননি। ১৯৮১ সালে মুক্তি পেয়েছিল তার প্রথম সিনেমা ‌‘চলচ্চিত্র’। ১৯৯৮ সালে ‘বড়দিন’ দিয়ে পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। যেটি নির্মিত হয়েছিল হিন্দি ভাষায়। 

অঞ্জন দত্ত পরিচালিত প্রথম বাংলা সিনেমা ‘বো ব্যারাকস ফরএভার’ মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। পরবর্তীতে যার হাতে সৃষ্টি হয়েছে ‘ম্যাডলি বাঙালি’, ‘বোমকেশ বক্সি’, ‘আবার দেখা হবে’ ‘দত্ত বনাম দত্ত’র মতো অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা। 

এমজে